এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলে থেকেও শুভেন্দুর ‘সমান্তরাল জনসংযোগ’ অব্যাহত! ক্রমশ জল্পনা তীব্র হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরে

তৃণমূলে থেকেও শুভেন্দুর ‘সমান্তরাল জনসংযোগ’ অব্যাহত! ক্রমশ জল্পনা তীব্র হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেড়ে চলা দূরত্ব নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে তৃণমূল শিবিরে হয়ে গেল ব্যাপক আকারে সাংগঠনিক রদবদল। আর এই রদবদলের মাধ্যমেই দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কিছুটা ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর অনুগামীদের। সম্প্রতি দেখা গেছে, দলের সাংগঠনিক রদবদলে রাজ্যের শীর্ষ কমিটিতে পরিবহণ মন্ত্রীর জায়গা হলেও এই মুহূর্তে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান কি, তা নিয়ে থাকছে প্রশ্ন।

তবে প্রশ্ন যাই থাক, কখনোই শুভেন্দু অধিকারী দলের কিংবা নিজের জনসংযোগ কর্মসূচিতে কোনো খামতি দেননি। এত জল্পনা সত্বেও তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কখনো কোনভাবেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বা তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। তবে ক্ষমতা থাকুক বা চলে যাক, তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু একইভাবে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং যাবেন বলে দাবী তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের। জঙ্গলমহল থেকে নিজের জেলা সর্বত্রই তিনি মানুষের পাশে দাদা হিসেবে থেকেছেন।

বিভিন্ন সময়ে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে দেখা গিয়েছে সাধারণের পাশে এসে দাঁড়াতে। কখনো দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন, কখনো জঙ্গলমহলে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রীর কাছে পৌঁছে গেছে তাঁর সাহায্য। কখনো করোনা রোগীদের সাহায্যার্থে দান করেছেন অ্যাম্বুল্যান্স। আর আবারও পরিবহণ মন্ত্রী তথা দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী করোনা পরিস্থিতিতে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম এবং তমলুক জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে এবার এক হাজার পালস অক্সিমিটার যন্ত্র দেওয়া হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর তৎপরতায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, সম্প্রতি জেলাতে উপসর্গবিহীন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হৃৎস্পন্দন মাপতে যাতে কোনোরকম অসুবিধা না হয়, তাই তিনি পরিবহণমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন সাহায্যের কথা এবং পরিবহণমন্ত্রীও যথাসাধ্যভাবে তাঁদের সাহায্য করেছেন। অন্যদিকে করোনা মোকাবিলায় দেখা গেছে, পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তাঁর জেলার পাশে দাঁড়ানোর জন্য সর্বদা প্রস্তুত থেকেছেন। এবং এই উদ্যোগকে যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলে ব্যাখ্যা করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের এবং শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের মন্তব্য হলো, সাম্প্রতিক রদবদলে শুভেন্দু অধিকারীর যেভাবে ক্ষমতা ছাঁটাই হলো, তা যথেষ্ট আলোচ্য বিষয়।

কারণ অনেকেই মনে করেন, জনপ্রিয়তার নিরিখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পরেই নাম আসবে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। তবে প্রশ্ন উঠছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী আরো ব্যাপকভাবে সামাজিক কাজকর্ম শুরু করেছেন, তাতে পরিবহণ মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী কি বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজের জনপ্রিয়তা প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছেন? এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মত, শুভেন্দু মমতার এই দূরত্ব পরবর্তীতে দলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে বেশ কিছুটা সুবিধা পেয়ে যাবে বিরোধী দলগুলি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!