এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > তৃণমূলের পর আসরে বামেরা ,ফের দিলীপের বিরুদ্ধে দায়ের হলো FIR

তৃণমূলের পর আসরে বামেরা ,ফের দিলীপের বিরুদ্ধে দায়ের হলো FIR

অতীতেও বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এবং যা রীতিমত ভাইরাল হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত সবথেকে বিতর্কিত মন্তব্যটি ধরা হচ্ছে রানাঘাটের দলীয় সভা থেকে করা তাঁর মন্তব্যটি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবার ক্যা এর বিরোধিতায় যারা আন্দোলন চালাচ্ছে, তাঁদেরকে গুলি করে মারার নিদান দিলেন। যেখানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে ঘিরে গোটা দেশ জ্বলছে, সেই বিক্ষোভের আগুনকেই আরো একটু উস্কে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তবে এবার বিতর্কিত মন্তব্য করে তিনি বিরোধীদলের পাশাপাশি নিজের দলেও তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন।

রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যে চরম অস্বস্তিতে তাঁর দল বিজেপি। দিলীপ ঘোষের নামে ইতিমধ্যে রাজ্যের সবকটি থানায় এফআইআর দায়ের করেছে ডিওয়াইএফআই। এবার আসরে নামল বাম সংগঠনগুলি। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের জন্য আন্দোলনকারীদের গুলি করে মারার নিদান দিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত যেমন রবিবার করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি, এরপর গতকাল একইভাবে সেই বিতর্ক আরও একটু টেনে নিয়ে গেলেন খড়্গপুরের দলীয় সভা থেকে তিনি। এবার আরেকটি বিতর্কিত মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘বাংলা দেশদ্রোহীদের গড়।’

এই মন্তব্যের পরেই আবারও তুমুল বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রবিবার রানাঘাট থেকে দিলীপ ঘোষ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে গুলি করে মারা উচিত। অসম -উত্তরপ্রদেশ-কনার্টকে করে দেখিয়েছে বিজেপি শাসিত সরকার। এখানেও সেটাই হওয়া উচিত।” এরপরে তিনি বলেন, নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে যাঁরা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে, তাঁদেরকে গুলি করা হয়েছে, জেলে ভরা হয়েছে অসম, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশে। এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আর এরপরই তিনি আরেকটি হিংসাত্মক মন্তব্য করেন। তিনি রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেন, “আমরা এলে লাঠি মারব, গুলি করব, জেলে পাঠাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ক্ষমতা নেই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত ও হিংসাত্মক মন্তব্যের প্রতিবাদে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে তৃণমূল। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যকে ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজ্যের বিরোধী মহলে এবং সুশীল নাগরিক সমাজের প্রতিটি স্তরে। প্রথমদিন বিতর্কিত মন্তব্য করার সাথে সাথেই নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র। কিন্তু তাতেও দিলীপ ঘোষকে আটকানো যায়নি। দ্বিতীয় দিন তিনি আবারও বেলাগাম মন্তব্য করে বসেন। বলেন, “সব থেকে বড় দেশদ্রোহীদের গড় বাংলা”।

রানাঘাটের মন্তব্যের পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় রীতিমতো তুলোধোনা করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে। এই প্রসঙ্গে বাবুল পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেছেন দিলীপদা।’ একটি টুইট করে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, দিলীপ ঘোষ যা মন্তব্য করেছেন, সম্পূর্ণ তাঁর নিজের মন্তব্য। এব্যাপারে দল কোন দায়িত্ব নেবে না। তিনি আরো বলেন, বিজেপি অসম, উত্তর প্রদেশ বা কর্নাটকে এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি যা রাজ্য বিজেপি সভাপতি প্রকাশ্যে বললেন। বাবুলের পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল। অবশ্য অনুব্রত মণ্ডলও একটি বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন দিলীপ ঘোষের প্রতি। সেটি নিয়েও নিন্দার ঝড় ওঠে। তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষকে গুলি করে মারা উচিত।

দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্যগুলি একে একে সামনে আসার পর থেকেই রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজ্যের সর্বত্র। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনেই বাংলার বিধানসভা ভোট। আর তার আগে রাজ্যের পুরভোট। রাজ্যের বিধানসভার মসনদ দখল করতে এবার পাখির চোখ করেছে বাংলাকে বিজেপি নেতারা। বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু তারই মধ্যে রাজ্য বিজেপি সভাপতি যেরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেছেন, তাতে বাংলায় বিজেপির আসন যেকোনো মুহূর্তে টালমাটাল হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ বলা যেতে পারে, বিজেপি সভাপতির বক্তব্যের খেসারত তাঁর নিজের দল বিজেপিকে দিতে হতে পারে। আপাতত রাজ্য বিজেপি সভাপতির বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কি ব্যবস্থা নেয়? সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!