এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা থেকে দূরে থাকতে ভরসা হতে পারে রসুন-হলুদ! জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক

করোনা থেকে দূরে থাকতে ভরসা হতে পারে রসুন-হলুদ! জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক


সারাবিশ্ব এই মুহূর্তে করোনা আতঙ্কে জেরবার। বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা ও চিকিৎসকরা এই মুহূর্তে করোনার প্রতিষেধক তৈরি করতে জীবনপণ লড়াই করছেন। ভারতেও করোনার সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়েছে। অন্যদিকে ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো যথেষ্ট দুর্বল বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় প্রত্যেককে শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল করার জন্য পরামর্শ দিলেন ভারতীয় আয়ুশ মন্ত্রক। করোনার সঙ্গে লড়তে গেলে যেটা সবথেকে বেশি প্রয়োজন, তা হলো নিজস্ব ইমিউনিটি পাওয়ার।

আর এই ইম্যুনিটি বাড়াবার জন্যই এবার আয়ুর্বেদের নানান টোটকার কথা জানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক। সাধারণত আয়ুশ মন্ত্রক যা বলছেন, তা চিরপরিচিত আমাদের কাছে আমাদের মা, ঠাকুমার কল্যাণে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক জানাচ্ছেন, ভেষজ সম্পদ ব্যবহারের কথা। তাঁরা উদাহরণ দিয়েছেন এই ভেষজ সম্পদ ব্যবহার করেই অতীতে মহর্ষি সুশ্রুত এবং চরকের সময় থেকেই রোগ-ব্যাধি মুক্ত থেকেছে ভারতীয় উপমহাদেশ। করোনাভাইরাসকে ঠেকাতে কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক পরামর্শ দিয়েছেন নিত্যদিনের ঘরোয়া সামগ্রী ব্যবহার করার।

কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক পরামর্শ দিয়েছেন নিত্যদিনের খাবারে আমিষ থাকুক বা নিরামিষ – সে ক্ষেত্রে রান্নায় বেশি করে হলুদ, রসুন, জিরা আর ধনে ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বেড়ে উঠবে। কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক পানীয় ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন নিত্য দিনের পানীয় চা বা অতি পরিচিত খাদ্য পুদিনা পাতা রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে পারে। এজন্য প্রতিদিন একবার বা দু’বার ভেষজ চা পান করতে হবে এবং অবশ্যই আদা মেশানো চা এক্ষেত্রে উপকার দেবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ আদা চা পান করলে অতি দ্রুত হারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে উঠবে বলে দাবি আয়ুশ চিকিৎসকদের। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের বক্তব্য অনুযায়ী জানা গেছে, আদায় আছে অনেক বেশি ঔষধিগুণ, যার ফলে আদা চা শরীরকে চাঙ্গা রাখে। বিশেষ করে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা এড়াতে আদার জুড়ি মেলা ভার। যেহেতু করোনাও ফুসফুসকে সংক্রমিত করে, তাই সে ক্ষেত্রে যদি এখন থেকেই নিত্যদিন আদা চা পান করা যায়, তাহলে শ্বাসযন্ত্রের শক্তি অবধারিতভাবে বেড়ে উঠবে। নিজের চেষ্টায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে তুলতে চবনপ্রাস খাওয়া অতিপ্রয়োজনীয়।

তবে আয়ুশ মন্ত্রকের দাবি, শরীরের পক্ষে সবথেকে উপকার হলো যতবার খুশি গরম জল পান করা। এর সাথে নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করলে অবশ্যই উপকার পাওয়া যাবে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের অনেকেই পরামর্শ দিচ্ছেন, প্রতিদিন 30 মিনিট করে যোগাসন, প্রাণায়াম এবং মেডিটেশনের। এই সময় অর্থাৎ করোনা নিয়ে যখন আতঙ্ক সীমাহীন অবস্থায় পৌঁছে গেছে, সামান্য সর্দি-কাশি হলেও মানুষ আতঙ্কে পড়ে যাচ্ছেন, সেখান থেকে বেরোনোর রাস্তা বাতলে দিয়েছেন আয়ুশ চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, যদি শুকনো কাশি হয় তাহলে গরম জল দিয়ে ভাপ নিলে উপকার পাওয়া যাবে। এর সাথে যদি লবঙ্গ ও মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে উপকার হবে অনেক তাড়াতাড়ি বলে জানা গেছে।

তবে সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে এই টোটকাতে যদি ফল না হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে আয়ুষ মন্ত্রকের তরফ থেকে। আপাতত করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমত চিন্তায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি। দেশের সামনে এই মুহূর্তে যে এক বড় দুঃসময় আসছে, সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। ভাইরাসের সঙ্গে মানুষের লড়াইয়ে এই মুহূর্তে মানুষের হাতে কোন পাকাপোক্ত অস্ত্র নেই। তাই বিশেষজ্ঞদের দাবি, যদি আয়ুশ মন্ত্রকের পরামর্শ অনুযায়ী মানুষের শরীরে করোনাকে আটকে দেওয়ার অতিরিক্ত ক্ষমতা সৃষ্টি হয়, তাহলে অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি আমাদের দেশ করোনা মুক্ত হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!