করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রথমে ভারতবর্ষকে লকডাউন করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই আশার আলো দেখা দিতে শুরু করে গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে। চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ প্রত্যেকেই দাবি করতে থাকেন, এই লকডাউনের ফলে ভারতবর্ষ করোনা মুক্ত হওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবেন।

কিন্তু সেদিকেই যখন গোটা দেশ এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই ঘটে যায় একটি ঘটনা। যেখানে কার্যত এই সিদ্ধান্তকে অস্বীকার করে এবং বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিল্লির নিজামুদ্দিনে জমায়েত করতে দেখা যায় সংখ্যালঘু সমাজের প্রতিনিধিদের। এদিকে এই ঘটনার পরেই সারা ভারতবর্ষ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হতে শুরু করে। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, সবকিছু জানা সত্ত্বেও কেন মুসলমানদের এই সংগঠন জমায়েত করল?

এমনকি এই ঘটনার পর দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করায় নিজামুদ্দিনের এই জমায়েতকেই দায়ী করতে শুরু করেন সকলে। আর গোটা দেশ যখন সংখ্যালঘুদের এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে করোনা বৃদ্ধির জন্য সরব হচ্ছে, ঠিক তখনই এবার অস্বস্তিতে পড়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল জামিয়াত উলেমা হিন্দ।

সূত্রের খবর, মুসলমান সমাজকে কলঙ্কিত করবার জন্য কেউ বা কারা ভুয়ো খবর রটাচ্ছে বলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এই সংগঠন। যেখানে এই মিথ্যে খবর ছড়ানো বন্ধ করতে দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তারা। আর ভারতবর্ষ জুড়ে যখন করোনা বৃদ্ধি হচ্ছে, ঠিক তখনই সংখ্যালঘুদের সংগঠনের এভাবে আদালতে গিয়ে দরবার ভারতবর্ষের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

যদিও বা জামিয়ত উলামায়ে হিন্দের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে বহু ছবি, ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। মুসলমান সম্প্রদায়ের একাংশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। তবে সংখ্যালুঘুদের এই সংগঠন এই কথা বললেও, দিল্লির নিজামুদ্দিনের ঘটনার পরপরই যেভাবে ভারতবর্ষ জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে, তাতে মানুষ যে কিছুটা হলেও ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সকলেই। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সুপ্রিম কোর্ট এই ব্যাপারে কোনো নির্দেশ দেয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।