উত্তরপ্রদেশের মৃত তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মুখে কালি হেভিওয়েট সাংসদের! জোর চাঞ্চল্য! জাতীয় রাজনীতি October 6, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তরপ্রদেশের এক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিরোধীরা আন্দোলনে নেমে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা একসাথে এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামলেও, তাকে কটাক্ষ করতে দেখা যায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে। আর এবার উত্তরপ্রদেশের সেই মৃত তরুণীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এক ব্যক্তি আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের মুখে কালি ছেটালো। জানা যায়, এদিন যখন সঞ্জয় সিং তরুনীর বাড়িতে গিয়েছিলেন, তখন তার সঙ্গে ছিল আপ বিধায়ক রাখি বিরলা, অজয় দত্ত এবং ফয়জল লালা। আর সেই সময় সঞ্জয়বাবু যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে যান, তখনই তার মুখে কালি ছোড়ে এক ব্যক্তি বলে অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু কে এমন এই ঘটনা ঘটালো? জানা গেছে, যে ব্যক্তি সঞ্জয় সিংয়ের মুখে কালি ছুড়েছে তার নাম দীপক শর্মা। কালি ছোড়ার পরে তিনি স্লোগান দিতে থাকেন। আর এর পরেই আম আদমি পার্টির কর্মী সমর্থকরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে এই ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে। একাংশ বলছেন, আসলে বিরোধী সাংসদদের দমানোর জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে নানা চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার প্রতিবাদে ময়দানে নামলে তাদের কটাক্ষ করতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এবার আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং সেই তরুণীর বাড়িতে যাওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে তাকে উদ্দেশ্য করে কালি ছেটানো হল, তা নিঃসন্দেহে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে টুইটে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং। তিনি বলেন, যোগী একজন কাপুরুষ। তিনি কখনোই ঠাকুন নন। হাথরাসে কাপুরুষোচিত কাজ করা হয়েছে। পুলিশ আমাদের মৃত তরুনীর বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে আমাদের উপর হামলা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন। ব্যাটন চার্জ করুন। আমাকে খুন করুন। কিন্তু ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন চলবে।” অর্থাৎ সঞ্জয় সিং নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, তারা এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বিজেপি তাতে কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। যার ফলে সেই বিজেপি সাংসদ নির্যাতিতা তরুণীর বাড়িতে যাওয়ার সাথে সাথেই তাকে উদ্দেশ্য করে কালি ছেটানো হল, তাতে নাম না করে হলেও সঞ্জয় সিং এই ঘটনায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোয় ভারতীয় জনতা পার্টি যে অনেকটাই চাপে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না ।সব মিলিয়ে গোটা ঘটনা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -