এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভোট আসতেই এবার রেলের রাজ্যবাসীর মন জয় করার চেষ্টা, বিরোধীরা সরব

ভোট আসতেই এবার রেলের রাজ্যবাসীর মন জয় করার চেষ্টা, বিরোধীরা সরব


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে রেলের বেশ কিছু প্রকল্প এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। এদিকে সামনে আসছে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যের উন্নয়ন সেখানে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে যেমন শাসকদল রাজ্যের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে করছেন বিভিন্ন কর্মসূচি এবং প্রকল্পের ঘোষণা, ঠিক সেভাবেই কেন্দ্র এবার নজর দিয়েছে রাজ্যের রেল প্রকল্পগুলিকে সম্পূর্ণ করার। সেই অনুযায়ী এবারের রেল বাজেটে পশ্চিমবঙ্গের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুকুল রায় যা যা পরিকল্পনা করেছিলেন, সেগুলি আগামী 2024 সালের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ এবার রেলের।

রেলের অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডাবল লাইনের কাজ এবং সিগন্যালের উন্নয়ন। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্পগুলির কাজ হয়ে আসছে, তাও এখনো পর্যন্ত শেষ হয়নি। তাই এবার রেলের তরফ থেকে ডেডলাইন দিয়ে দেওয়া হল বলে জানা যাচ্ছে। জানা গেছে, শুধুমাত্র রাজ্যের মধ্যেই লাইন তৈরির খরচ হবে রেলের 2989 কোটি টাকা। সম্প্রতি রেলের তরফ থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘রেল ভিশন 2024’। সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থের অনুমোদনের পরিমাণ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের আমবাড়ি-ফালাকাটা থেকে নিউ ময়নাগুড়ি ডাবল লাইনের কাজ অনুমোদিত হয় 2011 সালে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই কাজ শেষ হওয়ার কথা এবছর। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, ময়নাগুড়ি-গুমানিহাট ডাবল লাইনের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। পাশাপাশি 2018-19 সালে পুরুলিয়া থেকে কোটশিলা পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজ রেলের অনুমোদন পায়। 2024 এর মার্চের মধ্যে তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুরের নতুন লাইনের কাজ শেষ হওয়ার কথা। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ট্রেন বাড়ানোর মতন পরিকাঠামো তৈরি করেছিলেন। সেই অনুযায়ী প্রকল্প হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেস দিল্লির রাজ্যপাটের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দেন। গেরুয়া সরকারের হাত ছেড়ে দেন তিনি। যথারীতি প্রকল্প রূপায়ণের কাজ চলে যায় হিমঘরে। কিন্তু এবার সেই কাজ নতুন করে শেষ করার ইঙ্গিত দিয়েছে রেল।

বলা হচ্ছে, রাজ্যের মধ্যে পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব সীমান্তে রেলের প্রকল্পগুলির কাজ শেষ হলে মালগাড়ি আলাদা লাইনে চালানো হবে। এর ফলে যাত্রীবাহী ট্রেন গতি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন ট্রেন চালু করা হবে বলেও শোনা যাচ্ছে। আর তাই রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে কাজ শেষ করার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে বেশি। অন্যদিকে হঠাৎ করেই কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্যের দিকে নজর বাড়ানোয় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। বিরোধীদের দাবি, শুধুমাত্র ভোটের দিকে নজর দিয়ে রেলের এই তৎপরতা। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, প্রকল্প যে দলেরই হোক না কেন, কাজ শেষ হলে তার সুবিধা ভোগ করবেন সাধারণ মানুষ। আর তাই দলমত নির্বিশেষে যে কোন প্রকল্প রূপায়িত হওয়া উচিত।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!