এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভয়ঙ্কর অবস্থা রাজ্যের ! শিক্ষাকে লাটে তুলতে পাকা ব্যাবস্থা মমতার ? জেরবার তৃণমূল !

ভয়ঙ্কর অবস্থা রাজ্যের ! শিক্ষাকে লাটে তুলতে পাকা ব্যাবস্থা মমতার ? জেরবার তৃণমূল !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার করুন চিত্র বারবার উঠে আসছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংগঠনের দাদাদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে অধ্যক্ষদের। যার ফলে অনেকে সেই দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পর যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষও স্বেচ্ছা বসরের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তার মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট যে, তিনি চাপের শিকার। আর এই চাপ দেওয়া হচ্ছে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে। এদিকে এই ভয়াবহ অভিযোগ সামনে আসতেই বিরোধীদের তরফে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে কি একেবারে পাকাপাকি লাটে তুলে দিতে চাইছে এই রাজ্যের সরকার! যেখানে প্রতি মুহূর্তে একের পর এক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ উঠছে, সেখানে কেন এখনও নীরব শিক্ষা দপ্তর? কেন এখনো নিজের দলের ছাত্র সংগঠনকে সবক শেখাতে পারছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আর সেই বিষয় নিয়েই এবার রাজ্যকে এবং তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, এদিন যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাবসর নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূল সরকারের আমলে কলেজগুলোতে লুম্পেন তৈরি হচ্ছে। যারা এখন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করে, তারা ছোট থেকেই চুরিতে পাকানোর কাজ করছে। তাই এই পরিস্থিতিতে কোনো সভ্য, ভদ্র, রুচিশীল মানুষ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।” একাংশের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করে রাজ্যপাল চেষ্টা করেছিলেন, সেখানকার পরিবেশ ঠিক করতে। কিন্তু তাতে গাত্রদাহ হয়েছে রাজ্য সরকারের। আর এবার সরকারের উদ্দেশ্য যে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিজেদের আঁতুড়ঘর তৈরি করা, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তা না হলে এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটবে! আর কেনই বা তাতে চুপ থাকবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান! তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

বিরোধীদের দাবি, শিক্ষা আলোর পথ প্রশস্ত করে। তাই সেই পথকে ধ্বংস করার সব চেষ্টাই সরকার করছে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পড়াশুনোর পরিবেশ ব্যাহত করে মস্তান তৈরির পাঠ দেওয়া হচ্ছে। একের পর এক কলেজের অধ্যক্ষ ভয়ে ইস্তফা দিতে চাইছেন। কিন্তু সরকারের সেখানে কর্তব্য হওয়া উচিত, সেই সমস্ত অধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলা। তবে সরকার পাল্টা তাদের বিরুদ্ধাচরণ করছেন। কারণ এই সরকারের ইচ্ছাই নেই, রাজ্যে শিক্ষার পরিবেশ সচল থাকুক। তাই নিজেদের ছাত্র নেতাদের বাড়বাড়ন্ত, গুন্ডাগিরি দেখেও নীরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে তৃনমূলকে বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সুকান্ত মজুমদার কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র নেতাদের দাদাগিরি নিয়ে যে কথা বলেছেন, তা কিছুটা হলেও ঠিক। তবে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য তার দলের কোনো দোষ দেখতে পান না। যে কারণে যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষ ভয়ে স্বেচ্ছাবসরের কথা বললেও তার পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল না রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। এমনকি যাদের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ, তাদের নিয়েও কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল না সরকারকে। সত্যিই কি সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি চায়? নাকি তাকে আরও লাটে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন এগিয়ে বাংলার রুপকার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন তুলছে সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!