এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আজ সরকারি কর্মীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সভা, পে-কমিশন নিয়ে শুরু চূড়ান্ত হতাশা?

আজ সরকারি কর্মীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সভা, পে-কমিশন নিয়ে শুরু চূড়ান্ত হতাশা?


রাজ্যের গুরুত্ত্বপূর্ন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পূর্ব-ঘোষণা মত আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুখোমুখি হচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের। তবে, এই অনুষ্ঠানে সবাই আমন্ত্রিত নন – এটা শুধুমাত্র রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সাংগঠনিক সমাবেশ। আর সেই সমাবেশেও ডাকা হয়েছে শুধুমাত্র স্থায়ী সরকারি কর্মীদের, অস্থায়ী কিংবা চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা এদিনের বৈঠকে ব্রাত্য।

শুভেন্দুবাবুর পূর্ব ঘোষণা মত মনে করা হচ্ছিল আজ পে-কমিশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করতে পারেন। কেননা, ৬ মাসের মধ্যে চালু করার উদ্দেশ্য নিয়ে যে পে-কমিশন অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, তা সর্বকালীন রেকর্ড করে প্রায় ৪ বছর পার করতে চলল। ফলে, এই নিয়ে ‘বঞ্চনার’ অভিযোগ তুলে রীতিমত সরব সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। এমনকি এই গতকালই ফটিক দে ও দেবাশীষ শীলের নেতৃত্ত্বে সরকারি কর্মচারীদের ১৩ টি সংগঠন একযোগে কলকাতা পুরসভার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল।

শুভেন্দুবাবুর ঘোষণা মত, আজ মুখ্যমন্ত্রীকে পে-কমিশন নিয়ে ঘোষণা করতে হলে, পে-কমিশনের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই নবান্নে জমা পরে যাওয়ার কথা। কেননা মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, পে-কমিশন রিপোর্ট জমা দিলে তবেই তিনি ‘ভেবে দেখবেন’! অথচ, গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্তও সেই রিপোর্ট নবান্নে যে জমা পরে নি – তা বিভিন্ন সূত্র থেকেই নিশ্চিত করা গেছে। এই প্রসঙ্গে সরকারি কর্মাচারী পরিষদের রাজ্য আহ্বায়ক দেবাশীষ শীল আগে জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে খবর আছে নবান্নে এই রিপোর্ট ১১ তারিখের মধ্যে জমা পড়তে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দেবাশীষবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে বলছি পে-কমিশনের রিপোর্ট তৈরী আছে। যদি নবান্ন সকালে নির্দেশ দেয়, সন্ধ্যের মধ্যেই তা জমা পরে যাবে। আর তাই, সেই রিপোর্ট যখন জমা পড়ছে না – সেখানেই বুঝে নিতে হবে পে-কমিশন নিয়ে সরকার ঠিক করতে চলেছে। ডিএ নিয়ে আদালতের রায়ের ফলে সরকারকে আজ নাহলে কাল তা দিতেই হবে। পে-কমিশন নিয়েও যে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করা হয়েছে, তার জেরে রাজ্য সরকার খুব বেশিদিন তা আটকে রাখতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে আজকের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়ত ‘ছেলে ভুলানো’ কিছু ঘোষণা করতে পারেন!

অন্যদিকে, যেহেতু পে-কমিশনের রিপোর্ট জমা পরে নি, তাই পে-কমিশন নিয়ে যে আজকের সভায় কিছুই থাকছে না তা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত সরকারি কর্মচারীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বহু কর্মী, যাঁরা কোনো সংগঠনের সঙ্গেই জড়িত নন, তাঁদের বক্তব্য – মুখ্যমন্ত্রী তো আগেই ‘পে-কমিশন’ রিপোর্ট না দিলে কি করে দেব – জাতীয় প্রশ্ন তুলে সব দায় অভিরূপ সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছিলেন! কিন্তু এই অভিরূপবাবুকে পে-কমিশনের চেয়ারম্যান কে বানিয়েছিলেন? তিনি বিগত প্রায় ৪ বছর ধরে রিপোর্ট জমা দিতে না পারলেও, কে তাঁর মেয়াদ কোনো প্রশ্ন ছাড়াই বৃদ্ধি করে গেছেন?

তাঁদের আরও বক্তব্য, এই সব দায় কি মুখ্যমন্ত্রী এড়িয়ে যেতে পারেন? ফলে আজও অভিরূপ সরকারের বা পে-কমিশনের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে ডিএ বা ইন্টিরিম রিলিফ নিয়ে কিছু হয়ত বলবেন মুখ্যমন্ত্রী – এর বেশি কিছু আশা করা যাচ্ছে না! ফলে সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আজকের নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিকে সরকারি কর্মীদের নজর থাকলেও – বিশেষ কোনো আশা তাঁরা করছেন না! তবে যদি ‘ভুল করে’ কিছু প্রাপ্তিযোগ ঘটে বা ‘প্রাপ্তিযোগের আশ্বাস’ মেলে – তাহলে তা হবে পুজোর আগে ‘বোনাস’ – বলে রসিকতা চলছে সরকারি কর্মচারী মহলে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!