কি হবে ২০১৯-এ? কে কত আসন পেতে পারে? কি বলছে জনপ্রিয় সমীক্ষা? জাতীয় বিশেষ খবর May 27, 2018 কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ৪ বছর পূর্ন হতেই লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেল। একের পর এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আগামী বছর হতে চলা নির্বাচনের সমীক্ষা সামনে আনতে শুরু করল। এমনই এক সমীক্ষা সামনে নিয়ে এল এবিপি নিউজ। আর সেই সমীক্ষায় যথেষ্ট দুশ্চিন্তা থাকতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের জন্য বলেই দেখা যাচ্ছে। এবিপি নিউজের সমীক্ষা অনুযায়ী আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে ৩৭% ভোট পেতে পারে বিজেপি নেতৃত্ত্বাধীন এনডিএ জোট, আর তাদের আসনসংখ্যা থাকতে পারে ২৬৯ থেকে ২৭৯ এর মধ্যে। ঠিক একবছর আগে করা এবিপি নিউজের সমীক্ষায় এনডিএ জোটের প্রাপ্ত ভোট শতাংশ দেখানো হয়েছিল ৪৫%, অর্থাৎ মাত্র একবছরের মধ্যেই জনপ্রিয়তা হ্রাসের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের এখনো এক বছর বাকি, এই প্রবণতাই যদি জারি থাকে তবে মোদী-শাহ জুটির কপালে ভাঁজ চওড়া হতে বাধ্য। অন্যদিকে, সরকার গঠনের জন্য দরকার ২৭২ টি আসন, যার খুব কাছাকাছিই থাকতে চলেছে এনডিএ জোট এই সমীক্ষা অনুযায়ী, যা অবশ্যই করে স্বস্তি দেবে গেরুয়া শিবিরকে। অন্যদিকে, ওই একই সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, এক বছর আগের প্রাপ্ত ভোট শতাংশ প্রায় ৪% বাড়িয়ে ৩১% পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হতে চলেছে কংগ্রেস। আসনসংখ্যার নিরিখে কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে প্রায় ১৬০-১৬৮ টি আসন, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে বেশ কম। তবে, এই সমীক্ষায় সবথেকে বড় দুঃসংবাদ বয়ে নিয়ে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নরেন্দ্র মোদী বিরোধী প্রধান মুখদের জন্য। এই সমীক্ষা অনুযায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত ফেডারেল ফ্রন্ট সেভাবে দাগ কাটতে পারছে না। ৩২%-এর কাছাকাছি ভোট পেলেও, আসন সংখ্যার নিরিখে তা থেমে থাকছে ৯৬-১১৪ এর মধ্যে। যা সরকার গঠন থেকে অনেক দূরে থাকবে। তবে ভোট পরবর্তীকালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বিজেপিকে আটকানোর একটা সূক্ষ সম্ভাবনা এই সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা দিচ্ছে। কিন্তু, অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত ফেডারেল ফ্রন্টে প্রায় ১৬-১৮ শরিক থাকায় এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার খুব কাছাকাছি এনডিএ জোট থাকায় নির্বাচনের পর ফেডারেল ফ্রন্টে ভাঙ্গন ধরতে পারে এবং কয়েকটি শরিক ফেডারেল ফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে এনডিএ জোটে শামিল হয়ে যেতে পারে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে এই সমীক্ষা অনুযায়ী এনডিএ জোটের জন্য চাপ তৈরী হলেও সরকার গঠনের জন্য সবথেকে সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে তারাই থাকতে চলেছে। আপনার মতামত জানান -