এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > ২০১৪-এর হারা ৬ টি আসনের দায়িত্ত্বে তৃণমূলের ‘মুশকিল আসান’, জেতা নিয়ে কি ভাবছেন?

২০১৪-এর হারা ৬ টি আসনের দায়িত্ত্বে তৃণমূলের ‘মুশকিল আসান’, জেতা নিয়ে কি ভাবছেন?

‘মুশকিল আসান’ – হ্যাঁ এই নামেই এখন শাসকদলের অন্দরে ডাকা হচ্ছে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী তথা দলের দাপুটে তরুণ নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। যেখানে যেখানে বিরোধীরা এখনো ঘাসফুল শিবিরের শক্ত গাঁট হয়ে আছেন – সেখানেই দলের তরফে দায়িত্ত্ব পেয়ে নিজের ‘জাদুদন্ড’ নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি, আর বিরোধী শিবিরের যে নেতাদের কোনোদিন ভাবাই যেত না তৃণমূলের ছাতার তলায়, তাঁদেরই করে তুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। আর এবার সেই ‘মুশকিল আসান’-এর পর্যবেক্ষনে গত লোকসভায় হেরে যাওয়া ছটি আসন। সম্প্রতি রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদীয়া জেলায় আশানুরূপ ফল হয় নি ঘাসফুল শিবিরের। যা নিয়ে নেতাজি ইন্ডোরে দলের কোর কমিটির সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার নেতাদের ধমকও দিয়েছেন। দলীয় সূত্রের খবর, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই সেই জেলার দায়িত্ব রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কাঁধেই অর্পণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর সেই মতো নেত্রীর নির্দেশ পেয়েই নদীয়ার কৃষ্ণনগরে গিয়েছিলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

স্থানীয় সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে কৃষ্ণনগরে কালেক্টরের মোরে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সভা করেছিল বিজেপি। আর এদিন সেই একই জায়গায় বিজেপির করা অভিযোগের জবাবে পাল্টা সভা করে তৃণমূল। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২০১৪ সালে যে ছয়টি আসন আমরা হেরেছিলাম, এবারে সেই আসনগুলোর দায়িত্বে আমি রয়েছি। ২০১৯ সালে এই ছটি আসনই আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেবো। এর সাথেই ২০১৯-এর লোকসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দেশে নির্ণায়ক শক্তি হবেন এই দিন সেই ব্যাপারেও বেশ আত্মপ্রত্যয়ী লাগে তাঁকে। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ওরা (বিজেপি) বলছে এনকাউন্টার করবে – আমরা বলি, আমাদের সহনশীলতা দুর্বলতা নয়, সীমা লঙ্ঘন করবেন না। এদিকে সারা দেশে সিবিআইকে দিয়ে বিরোধীদের ভয় দেখানো বলে বিজেপিকে তীব্র আক্রমন করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাজনৈতিক মহলের মতে ইতিমধ্যেই মালদহ, মুর্শিদাবাদের মত কংগ্রেস গড়ে দলীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্ব দেওয়ার পর সেখানে ঘাসফুল ফুটতে শুরু করেছে। এবার নদীয়াতেও দলীয় সংগঠন কে চাঙ্গা করতে লোকসভা ভোটের আগে সেই ‘সংগঠক শুভেন্দুর’ ওপরই ভরসা রাখছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!