এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > জন্মাষ্টমীতে স্কুল খোলা কেন? গেটে তালা বিজেপি নেতাদের! তীব্র বিতর্ক শুরু গোটা বাংলাজুড়ে

জন্মাষ্টমীতে স্কুল খোলা কেন? গেটে তালা বিজেপি নেতাদের! তীব্র বিতর্ক শুরু গোটা বাংলাজুড়ে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ইতিপূর্বে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে মুসলিম ধর্ষণের অভিযোগ করে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। মূলত সেই বিষয়টি কেন্দ্র করেই একাধিক নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে গেরুয়া শিবিরকে। আর এইবার জন্মাষ্টমীর দিন স্কুল খোলাকে কেন্দ্র করে মূলত সরকারের হিন্দু বিরোধীতার কথায় সীলমোহর দিতে দেখা যায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে।

কয়দিন আগেই ঈদ উপলক্ষে লকডাউন কিছুটা হালকা করা হয় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায়।মঙ্গলবার জন্মাষ্টমী উৎসব ছিল। কিন্তু সেই জন্মাষ্টমীর দিন অশোকনগর কল্যাণগড় সংস্কৃতি সংঘ শিক্ষানিকেতন নামে একটি বিদ্যালয় খোলা থাকতে দেখা গেছে। আর এতেই কেন জন্মাষ্টমীর মত উৎসবে বিদ্যালয় খোলা হল, তা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের উপর চোটপাট করতে দেখা যায় বিজেপি নেতা কর্মীদের। জানা যায়, এদিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রবীর কুমার সাহা বেশ কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে সরকারি কাজকর্ম করছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই সময়ই অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি আহ্বায়ক স্বপনকুমার দে দলীয় কর্মীদের নিয়ে স্কুলে ঢুকে পড়েন। প্রধান শিক্ষকের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, কেন আজকের দিনে স্কুল খোলা রয়েছে! এদিকে বিজেপি নেতা ও কর্মীদের এই আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমনিতেই বন্ধ। অফিশিয়াল কাজকর্মের জন্য খোলা হয়েছে। কিছুক্ষণ পরেই তিনি বন্ধ করে দেবেন। তবে এতেও ক্ষান্ত হননি বিজেপি নেতারা।

প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে ধমক দিতে শুরু করেন তারা। এরপর স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে চলে যান সেই বিজেপি নেতা কর্মীরা। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজ্য জুড়ে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা স্বপন কুমার দে বলেন, “আমরা কোন অন্যায় কাজ করিনি। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে স্কুল বন্ধ রাখতে বলেছিলাম। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা শোনেনি। তাই আমরা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি।” কিন্তু এভাবে গায়ের জোরে বিদ্যালয় আটকানো কি যুক্তিযুক্ত! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিস্তর প্রশ্ন। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!