এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পদ ছাড়তে চাইছেন একসঙ্গে ১০ প্রভাবশালী নেতা-নেত্রী! তীব্র শোরগোল তৃণমূল শিবিরের অন্দরে!

পদ ছাড়তে চাইছেন একসঙ্গে ১০ প্রভাবশালী নেতা-নেত্রী! তীব্র শোরগোল তৃণমূল শিবিরের অন্দরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভাগুলোতে করোনা ভাইরাসের কারণে নির্বাচন না হওয়ায় প্রশাসক মন্ডলী গঠন করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। রামপুরহাট পৌরসভাতেও এরকম পদ্ধতি নেওয়া হয়েছিল। বিদায়ী চেয়ারম্যান অশ্বিনী তিওয়ারিকে পৌরসভার প্রশাসক পদে বসিয়ে 16 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ভাইস চেয়ারম্যান সুকান্ত সরকারকে সেই বোর্ডের সদস্য করা হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সুকান্তবাবুকে সরিয়ে সেই প্রশাসক বোর্ডের সদস্য করা হয় মীনাক্ষী ভগতকে।

স্বাভাবিক ভাবেই তখন থেকেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিতে শুরু করে। পরবর্তীতে দ্বন্দ্ব মেটাতে করোনা মোকাবিলায় সমস্ত ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলরদের সেই সমস্ত ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর পদে নিয়োগের জন্য পৌরসভাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে প্রাক্তন কাউন্সিলরদের কো-অর্ডিনেটর করার কথা বলা হলেও, ঠিকমত সমস্ত নিয়ম প্রশাসক বোর্ডের পক্ষ থেকে মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

যার ফলস্বরুপ সোমবার বিকেলে রামপুরহাট পৌরসভার 16 জন কাউন্সিলরদের মধ্যে 10 জন কাউন্সিলর কো-অর্ডিনেটরের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং সহ-সভাপতিকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে একটি চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের 10 জন নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার উদ্যোগ নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়াচ্ছে জেলা নেতৃত্বের। জানা গেছে, 1, 2, 4, 8, 10, 11, 13, 14, 16 এবং 18 নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন এইভাবে তারা নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে দলকে চিঠি দিলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে 4 নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর আব্বাস হোসেন বলেন, “কোন অর্ডিনেটরদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার জন্য প্রশাসক বোর্ডের সদস্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কো-অর্ডিনেটরের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। বর্তমানে অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে পৌরসভা। আমাদের গুরুত্ব দিলে সেই অনিয়ম করা যাবে না। যে পদের গুরুত্ব নেই, সেখান থেকে কি করব! তাই জেলা নেতৃত্বের কাছে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি।”

কিন্তু কেন কো-অর্ডিনেটর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না? এদিন এই প্রসঙ্গে প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান বলেন, “কো অর্ডিনেটরদের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই সমস্ত কাজ করা হয়। তা সত্বেও তারা কেন ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, বলতে পারব না।” তবে এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে ব্যাপক বিড়ম্বনায় পড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনুব্রত মণ্ডলের মত শক্তিশালী নেতা বীরভূমের দায়িত্বে।

সেখানে রামপুরহাট পৌরসভায় এইভাবে দলের বিভিন্ন প্রাক্তন কাউন্সিলররা যদি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে চিঠি দিতে থাকেন, তাহলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন দলের প্রাক্তন কাউন্সিলরদের কো-অর্ডিনেটর পদ থেকে ইস্তফা আটকাতে জেলা নেতৃত্ব কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!