এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অফিস ১০০% খোলা হলেও, আদতে মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন বাড়ি থেকেই কাজ? নতুন ট্যুইটে বড়সড় অনুরোধ

অফিস ১০০% খোলা হলেও, আদতে মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন বাড়ি থেকেই কাজ? নতুন ট্যুইটে বড়সড় অনুরোধ


রাজ্যে লকডাউনের ক্ষেত্রে অনেকাংশে শিথিলতা জারি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতি বাংলায় জেঁকে বসার পর থেকেই রাজ্য সরকারের তরফে বারবার জনসাধারণের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর সাবান জলে হাত ধুতে হবে, মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে, হাতের জন্য গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে,বাইরে থেকে এলে জুতো জামা সমস্ত সাবান জলে ধুতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলা সত্বেও বাংলায় লকডাউনের মধ্যেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।

চতুর্থ দফার লকডাউনের শেষে রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা হয়েছে বেশকিছু শিথিলতা। এমতাবস্থায় জানা গেছে সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করা হলেও, বেসরকারি সংস্থাগুলির উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন কর্মী উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত সংস্থাগুলি নেবে। তবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম এর দিকেই যেন সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়, এমনই অনুরোধ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রাপ্ত সূত্র থেকে জানা গেছে গত শুক্রবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেসরকারি সংস্থাগুলোর উদ্দেশ্যে টুইট করে অনুরোধ জানিয়েছেন, ‘বেসরকারি সংস্থায় কর্মীদের কতজনকে কীভাবে কাজে লাগানো হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে যতটা সম্ভব “ওয়ার্ক ফ্রম হোম”‌ করাই শ্রেয়।’ সম্প্রতি রাজ্যের বাস চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু নয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘সরকারি বাসে এবার সব আসনে যাত্রী বসবে।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, ‘গত দু দিন কলকাতায় মাত্র দুজন যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন রুটে অটো চলছে। ভাড়া নিজেরাই ঠিক করে নিয়েছেন। কোনও রুট থেকে কোনও গোলমালের খবর শনিবার রাত থেকে পাওয়া যায়নি। শনিবারও রাস্তায় নেমেছে অজস্র হলুদ ট্যাক্সি। যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে কোনও বচসার খবর পাওয়া যায়নি।’‌

জানা গেছে এদিন মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন শিথিল করার বিষয় জনসাধারণের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন,’‌ন্যূনতম বিধিনিষেধ মেনে লকডাউন চলবে। এর সঙ্গে পরিস্থিতি দেখে নিতে হবে। চটকল ও চা-‌বাগান ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়েই চালু থাকবে। এই সময় আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। আমি নিশ্চিত, আপনাদের সকলের সহযোগিতা বোঝাপড়ার ভিত্তিতে বাংলা সঙ্কটকে জয় করবে।’‌ ইতিমধ্যেই বাংলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। এরইমধ্যে লকডাউন শিথিল হলে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি সঙ্কটজনক অবস্থায় পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিরোধী মহল।

জানা গেছে গত শনিবার রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা জেলার আধিকারিকদের নিয়ে বাংলার বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে বৈঠক করেন। এদিকে জানা গেছে গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলাশাসকদের সঙ্গে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে বসেন। সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রের খবর ভিডিও কনফারেন্সের পর মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘‌রাজ্য এখন একাধিক সঙ্কটে। এই পরিস্থিতিতে আমরা রাজ্য সরকারি কর্মীর উপস্থিতির সংখ্যা ৫০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে নিয়েছি। পরিষেবা ফেরানোর কাজ এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। কর্মীসংখ্যা বাড়লে সরকারি পরিষেবা এখন অবাধ ও অবিচ্ছিন্নভাবে দেওয়াটা নিশ্চিত করা যাবে।’‌

জানা গেছে এদিন তিনি টুইটারের মাধ্যমে বেসরকারী সংস্থাগুলির উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন যতটা পারা যায় বাড়িতে থেকে কর্মীদের মাধ্যমে কাজ করানোটাই শ্রেয়। লকডাউন শিথিল করা হলেও যতটা সম্ভব বাড়িতে থেকে কাজ করার এবং নিরাপদ ও সুস্থ থাকার অভিমত এদিন মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!