এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > 100 দিনের কাজ নিয়ে একগুচ্ছ নতুন নির্দেশিকা কেন্দ্রের, ক্ষোভ উগরে দিলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী

100 দিনের কাজ নিয়ে একগুচ্ছ নতুন নির্দেশিকা কেন্দ্রের, ক্ষোভ উগরে দিলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কেন্দ্র রাজ্যকে সাহায্য করছে না বলে বিভিন্ন সময়ে সোচ্চার হতে দেখা গেছে রাজ্যের বর্তমান মা-মাটি-মানুষের সরকারকে। তবে কেন্দ্রের সাহায্য না পাওয়া সত্ত্বেও রাজ্য 100 দিনের কাজে বরাবর সাফল্য পেয়েছে বলে দাবি রাজ্যের শাসকদলের।

তবে এমন পরিস্থিতিতে 100 দিনের কাজে রাজ্য সাফল্য পেলেও কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া অবস্থানের জেরে রাজ্যের গ্রামাঞ্চলগুলিতে সেই কাজ বন্ধের মুখে বলে এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। কিন্তু কেন এই কাজ বন্ধের মুখে! কেন্দ্র এমন কি সিদ্ধান্ত নিল, যার জন্য বাংলায় 100 দিনের কাজে প্রভাব পড়তে চলেছে!

জানা যায়, আগে একজন পুরুষকর্মীকে দিনে 38 সিএফটি এবং একজন মহিলা কর্মীকে 28 সিএফটি মাটি কাটতে হত। এখন কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে দিনে সকলকেই 60 সিএফটি মাটি কাটতে হবে। আর তাহলেই দৈনিক 191 টাকা মজুরি মিলবে বলে জানা গেছে।

শুধু তাই নয়, সরকারি জায়গা ছাড়া কোনো বেসরকারি জমি বা জলাশয়ের মাটি খনন করা যাবে না এবং প্রতিদিন এই 100 দিনের কাজ করে তার ছবি জিআই ট্যাগের মাধ্যমে দিল্লিতে পাঠাতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও রাজ্য মাটি কাটার ব্যাপারে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার প্রবল বিরোধিতা শুরু করেছে।

একাংশের দাবি, কোনো মানুষের পক্ষেই একদিনে 60 সিএফটি মাটিকাটা সম্ভব নয়। এই পরিমাণ মাটি কাটতে দুই থেকে আড়াই দিন সময় লাগে। ফলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তা যদি পালন করা না যায়, তাহলে একদিনে অর্ধেকের কম টাকা পাবেন কর্মীরা। ফলে সেক্ষেত্রে অনেকেই 100 দিনের কাজের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে রাজি হচ্ছেন না। যার জেরে এবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বনাম কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির মধ্যে নতুন করে বিবাদের সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে 100 দিনের কাজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সুপারভাইজারদের সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। বস্তুত, আগে 25 জন শ্রমিকের পেছনে একজন করে সুপারভাইজার নিয়োগ করা হত। এখন সেই শ্রমিকের সংখ্যা বাড়িয়ে 50 জন করা হয়েছে। পাশাপাশি সুপারভাইজারদের দৈনিক মজুরি করা হয়েছে আড়াইশো টাকা।

কিন্তু বিগত এক বছর ধরে সেই টাকা বকেয়া থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সেই আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে না বলে ইতিমধ্যেই সরব হতে দেখা গেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। আর এবার গোদের ওপর বিষফোঁড়া হিসেবে 100 দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা পাওয়ার পরে সুব্রতবাবু কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আরও অনেকটাই সরব হবেন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

তৃণমূলের দাবি, 100 দিনের কাজে বাংলা সারা দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে। এই কাজে এই রাজ্যে 52 লক্ষ পরিবার যুক্ত। তাই মোদি সরকার যেনতেন প্রকারে এই কাজকে তুলে দিতে চাইছে। আর সেই কারণেই এক দিনে যে কাজ করা অসম্ভব, তার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হলেও তা মানতে নারাজ বিজেপি।

তাদের পাল্টা দাবি, 100 দিনের কাজ থেকে যাতে কেউ কাটমানি খেতে না পারে, তার জন্যই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তৃণমূল বনাম বিজেপির 100 দিনের কাজ নিয়ে এই তরজার মাঝে 100 দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা সকলেই চাইছেন, তাদের কাজ। সকলেরই আশঙ্কা, তারা যেন কর্মহীন হয়ে না পারেন। ফলে মানবিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে দুই সরকারই এখন এই 100 দিনের কাজের ব্যাপারে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারে কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!