একশো দিনের কাজ হয়নি কিছুই, অথচ গায়েব লক্ষ লক্ষ টাকা! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কলকাতা রাজ্য November 1, 2019 100 দিনের কাজে রাজ্য সেরার সেরা হয়েছে বলে মাঝেমধ্যেই গর্ববোধ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু উপরে রাজ্য সেরার সেরা তকমা পেলেও ভেতরে যে অনেক জায়গা থেকেই এই ব্যাপারে দুর্নীতি শুরু হয়েছে, তা বুঝতে পারেনি কেউই। তবে এবার বড়সড় দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হল। যেখানে পরোক্ষভাবে অভিযুক্ত হল রাজ্যের শাসক দল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সূত্রের খবর, মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে 100 দিনের প্রকল্পে কাজ না করেই প্রায় 90 লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রসঙ্গত, এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় 100 দিনের কাজের সিসি রোড, বাঁধের কাজ এবং নালার কাজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। আর এবার কাজ না করেই সেখান থেকে টাকা উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুললেন গ্রামবাসীরা। যা নিয়ে বর্তমানে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করে স্থানীয় বাসিন্দা খোকা বর্মন, বান্ধা ওরাও এবং ফরিদুল ইসলাম বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতের এক কর্তা কিছু এজেন্সির নাম করে প্রায় 90 লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কিন্তু কাজ হয়নি। ওনার স্ত্রীর নামে লক্ষ লক্ষ টাকার বিল ওঠানো হয়েছে। আমরা চাই, তদন্ত করে অফিসের অন্যান্য কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমরা এনিয়ে এসডিও, বিডিও এবং জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করব।” আর গ্রামবাসীদের এই অভিযোগের ভিত্তিতেই এখন বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন 100 দিনের কাজে রাজ্যকে সেরার সেরা করার দাবি করছেন, তখন কেন নীচুতলায় এই দুর্নীতি শুরু হয়েছে! এদিন এই প্রসঙ্গে গ্রামবাসীদের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করতে দেখা গেছে বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রধান নীতেন রায়কে। তিনি বলেন, “ওরা অভিযোগ তুলেছে যে কাজ না করে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এনিয়ে ওরা বিডিও অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছে। বিডিও তদন্ত করে দেখুক তাহলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। কাজ না করে কোনো টাকা তোলা হয়নি। এখানে একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে।” তবে প্রধানসাহেব যাই বলুন না কেন, গ্রামবাসীরা যে অভিযোগ করছে, তার মধ্যে কিছুটা হলেও সত্যতা রয়েছে। তা না হলে তারা মিথ্যে মিথ্যে অভিযোগ করতে যাবেন কেন! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ। তাই এখন তদন্তের ভিত্তিতে ঠিক কি বেরিয়ে আসে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -