এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ২৪-এর লক্ষ্যে মমতাকে পরামর্শ প্রশান্ত কিশোরের, তৈরি হচ্ছে নয়া রণনীতি!

২৪-এর লক্ষ্যে মমতাকে পরামর্শ প্রশান্ত কিশোরের, তৈরি হচ্ছে নয়া রণনীতি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের বাংলায় বিজেপির উত্থানে ব্যাপক চাপে পড়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপরেই 2021 এর নির্বাচনে সাফল্য ধরে রাখতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে এসে কিভাবে দল সাফল্য পাবে, তার স্ট্র্যাটেজি চূড়ান্ত করা হয়। ইতিমধ্যেই সেই স্ট্র্যাটেজি পালন করে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। 213 টি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় বসেছে ঘাসফুল শিবির।

আর এবার তৃণমূলের প্রধান লক্ষ্য 2024 এর লোকসভা নির্বাচন। বাংলা জয়ের পর এবার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর জাতীয় স্তরে দলকে বিস্তার লাভ করাতে গেলে এখন থেকেই যে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে হবে, তা বুঝতে পেরেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই এবার প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মোতাবেক তৃণমূল ভবনে নেতা-কর্মীদের যাতায়াত সচল রাখতে তৈরি করা হল রোস্টার।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি রোস্টার তৈরি করা হয়েছে। যেখানে সাংস্কৃতিক মাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্ন জগত থেকে উঠে আসা তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের নাম রয়েছে। যারা প্রতিনিয়ত তৃণমূল ভবনে বসবেন। অর্থাৎ দলীয় কর্মীরা তৃণমূল ভবনে এসেও সেভাবে নেতা-নেত্রীদের পায় না বলে একটা অভিযোগ প্রথম থেকেই ছিল।

কিন্তু এবার যাতে তা আর না হয় এবং সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দলকে বিস্তার লাভ করতে গেলে কর্মীরা যাতে সব সময় দলীয় কার্যালয়ে এসে নেতাদের পায়, তার জন্যই এই অভিনব পন্থা গ্রহণ করল তৃণমূল কংগ্রেস বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তৃণমূলের এই অভিনব পদক্ষেপের পেছনে যে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের যে যথেষ্ট অবদান রয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মূলত বিধানসভা নির্বাচনের পর সেভাবে প্রশান্ত কিশোরকে আর দেখা যাচ্ছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের চুক্তি হয়েছে আগামী 2026 সাল পর্যন্ত। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশান্ত কিশোর যে তৃণমূলের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত রয়েছেন, তা কার্যত নিশ্চিত। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দলকে বিস্তার লাভ করতে যখন চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন তৃণমূল ভবনকে সচল করতে এবং সেখানে যাতে নেতা-কর্মীরা আসেন তার জন্যই এই রোস্টার বলে দাবি একাংশের।

বস্তুত, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিবারের মত তৃণমূলের পক্ষ থেকে অনেক তারকাকে প্রার্থী করা হয়েছিল। তবে অনেকে জয়লাভ করলেও, পরাজিত হয়ে গিয়েছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সায়নী ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত বিশিষ্ট অভিনেত্রীরা। কিন্তু ভোটে পরাজিত হলেও, সেই সায়নী ঘোষের উপর যুব সংগঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের সম্পাদক করা হয়েছে।

আর এবার যারা নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন, সেই সমস্ত উল্লেখযোগ্য মুখ থেকে শুরু করে অন্যান্য হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী বিধায়কদের তৃণমূল ভবনে বসার কথা বলে দলীয় কার্যালয়কে আরও বেশি করে সচল করার কৌশল নিল ঘাসফুল শিবির। অর্থাৎ সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দলকে বিস্তারলাভ করাতে গেলে দলীয় কার্যালয়ের ভূমিকা যে অপরিসীম, তা বুঝেই এই উদ্যোগ নিল তৃণমূল বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!