ইসলামের শুদ্ধিকরণের নামে একের পর এক মসজিদের গম্বুজ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল! বাড়ছে তুমুল ক্ষোভ আন্তর্জাতিক বিশেষ খবর November 2, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কোনো মানুষের মন থেকে কিছু সরিয়ে ফেলতে গেলে সেই জিনিসটিকে ধ্বংস করার প্রবণতা দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রেই। কিন্তু আদৌ সেই প্রক্রিয়া কোনো কাজে আসে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে অনেক মানুষকেই। বস্তুত, মানুষের মন পাল্টানো বা তার পছন্দের বিষয়টিকে সরিয়ে ফেলা দুটি এক জিনিস নয় বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেক্ষেত্রে যদি সেটা হয় মানুষের বিশ্বাস বা ধর্মের মত বিষয়, তাহলে যে এতে হিতে বিপরীত হতে পারে, সেকথা আগেই জানিয়েছিলেন অনেক সমাজবিজ্ঞানী। তবে সেই কথাকে সম্প্রতি অস্বীকার করেই চীনে নতুন করে শুরু হয়েছে সংস্কারের নামে অত্যাচার। জানা গেছে, ইসলামের শুদ্ধিকরণের নামে একের পর এক মসজিদের গম্বুজ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে। সম্প্রতি ইনচুয়ান শহর পরিদর্শনে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। সেই সফর শেষে নিংজিয়া প্রদেশে ইসলামের ‘শুদ্ধিকরণ’ প্রক্রিয়ায় গাফিলতির অভিযোগে একাধিক সরকারি আধিকারিককে জিনপিং কড়া কথা শোনান বলে জানা যায়। আর তারপরই চীনা প্রশাসন বিখ্যাত নানগুয়ান মসজিদের ভোল পালটে ফেলে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, মিং আমলের বিখ্যাত মসজিদের মিনার ভেঙে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদটির গায়ে খোদাই সমস্ত আরবি হরফ মুছে সেখানে চিনা ভাষায় নতুন বার্তা লেখা হয়েছে বলেও জানা গেছে। বস্তুত, চিনে মুসলিমদের উপর হওয়া অত্যাচারের কাহিনী আগেও সামনে এসেছিল। সেখানে মৌলবাদ দমনের নামে উইঘুরদের উপর চলা নির্যাতনের কথা প্রকাশিত হওয়ার পর চীন কুৎসা কুড়িয়েছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে সেইসঙ্গে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট-এর রিপোর্টে অনুযায়ী শিনজিয়াং প্রদেশের ১০ লক্ষ উইঘুর মুসলিমকে শুধু ধর্মত্যাগ করানোই নয়, এর সঙ্গে চীনা প্রশাসন ১৬ হাজার মসজিদও ভেঙে ফেলছে। বস্তুত, উপগ্রহ চিত্র থেকে পাওয়া চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আগে শিনজিয়াং প্রদেশে যেখানে প্রায় ২৪ হাজার মসজিদ ছিল, গত তিন বছরের তার মধ্যে ১৬ হাজার মসজিদ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। বস্তুত, হুই মুসলিম অধ্যুষিত চিনের নিংজিয়া হুই অটনোমাস রিজিয়নের রাজধানী ইনচুয়ান শহরে অনেক নানগুয়ান মসজিদ রয়েছে বলে জানা যায়। ওই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মসজিদটি তৈরি হয়েছিল ১৩৬৮ থেকে ১৬৪৪ সালে। সেই সময় চিনে মিং রাজবংশ শাসন করত বলে জানা গেছে। মূলত, চিনা মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ওই মসজিদটি, একাধিক সোনালি মিনার ও গম্বুজে স্থাপিত। সেইসঙ্গে মসজিদটি ইসলামি স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন হিসেবেও পরিচিত। তথ্য সূত্রে জানা যায়, ১৯৮১ সালে ওই ধর্মস্থানটি উদ্ধার করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি মসজিদটির একাধিক মিনার ও গম্বুজগুলিকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গেছে। সেই সঙ্গে মসজিদটির গায়ে খোদাই সমস্ত আরবি হরফ মুছে সেখানে চীনা মান্দারিন ভাষায় নতুন বার্তা লেখা হয়েছে বলেই জানা যায়। আর তাই ইসলামের শুদ্ধিকরণ বা সংস্কারের নামে মসজিদটির গা থেকে কার্যত ইসলামের চিহ্ন মুছে দেওয়ার জন্যই এমনটা করা হয়েছে বলেই অভিযোগ তুলেছেন বিভিন্ন সমাজবাদীরা। আপনার মতামত জানান -