এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বিপুল জমি মাফিয়াদের দখলে!২০২১ এর আগে বাড়ছে জল্পনা !

শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বিপুল জমি মাফিয়াদের দখলে!২০২১ এর আগে বাড়ছে জল্পনা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জমি মাফিয়াদের বাড় বাড়ন্ত ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে শিলিগুড়িতে। জানা গেছে, ডিস্ট্রিক্ট ইউনিয়ন বোর্ডের অস্তিত্ব বিলুপ হলেও শিলিগুড়িতে সেই বোর্ড অথবা জেলা পরিষদের নামে থাকা বহু জমির রেকর্ড এখনও পর্যন্ত সংশোধন করা সম্ভব হয়নি। অধিকাংশ জমিই মাফিয়াদের দখলে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তা উদ্ধার করতে তৎপর বাম পরিচালিত শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ। সামনেই এই বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগে এমন উদ্যোগ নেওয়ায় এখন নানা মহলে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। এতদিন কেন মহাকুমা পরিষদ এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বহু আগে দার্জিলিং জেলায় ডিস্ট্রিক্ট ইউনিয়নবোর্ড ছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর তা সম্পূর্ণরূপে উঠে যায়। যেখানে চালু হয় জেলা পরিষদ। 1986 এবং 1987 সালের মধ্যে সেই দার্জিলিং জেলা পরিষদ বিলুপ্ত হলেও, 1989 সালে গঠন করা হয় শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ। জানা গেছে, এটাই রাজ্যের মধ্যে একমাত্র মহকুমা পরিষদ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই ইউনিয়নবোর্ড অথবা জেলা পরিষদের নামে থাকা কোনো জমির নাম পরিবর্তন করা হয়নি।

যার ফলে দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, ইউনিয়ন বোর্ড এবং জেলা পরিষদের কোনো অস্তিত্ব বর্তমানে এখানে নেই। যার কারণে সেই সমস্ত জমির একাংশ জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে। মূলত জেলা প্রশাসন এবং মহকুমা পরিষদের উদাসীনতার মনোভাব থাকার কারণেই এই জমি দখল করেছেন জমি মাফিয়ারা। তবে বর্তমানে তা উদ্ধার করতে উদ্যত বাম পরিচালিত এই মহকুমা পরিষদ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের তাপস সরকার বলেন, “বাগডোগরা এশিয়ান হাইওয়ের পাশে খড়িবাড়িতে এবং আঠারোখাইতে ইউনিয়ন বোর্ডের নামে বেশ কিছু জমি রয়েছে। সেগুলোর কিছু জায়গায় দোকান-বাড়ি গড়ে উঠেছে। বিষয়টি নজরে আসার পরেই মহকুমা পরিষদের সচিবের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়। ওই টিম সমীক্ষা চালিয়ে ইউনিয়নবোর্ড এবং জেলা পরিষদের নামে জমি এবং সম্পত্তির প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করে। সেই সমস্ত সম্পত্তির নাম পরিবর্তন করে মহকুমা পরিষদের নামে করার আর্জি জানানো হয় জেলার ভূমি ভূমি সংস্কার দপ্তরে। সুতরাং উদাসীনতার অভিযোগ ঠিক নয়।”

যদিও বা মহকুমা পরিষদের সভাধিপতির এই বক্তব্যকে মানতে নারাজ বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে মহাকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের কাজল ঘোষ বলেন, “দীর্ঘদিন বামফ্রন্ট মহাকুমা পরিষদের গতি কব্জা করে রেখেছে। তাদের ব্যর্থতার জন্য সরকারি জমি এবং সম্পত্তির নাম পরিবর্তন হয়নি। তবে এবার রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। শীঘ্রই এই সমস্যা মিটবে।” সব মিলিয়ে এবার জমি মাফিয়াদের হাত থেকে জমি উদ্ধার করতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এবং তাতে কতটা সফলতা আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!