এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃনমূলের উত্থানের ‘ধাত্রীভূমি’ এবার কার্যত রণভূমি, আজই কি শক্তি প্রদর্শন তৃনমূল বনাম শুভেন্দুর!

তৃনমূলের উত্থানের ‘ধাত্রীভূমি’ এবার কার্যত রণভূমি, আজই কি শক্তি প্রদর্শন তৃনমূল বনাম শুভেন্দুর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  নন্দীগ্রামে তৃনমূলের শহীদ দিবসকে কেন্দ্র করে এবার আড়াআড়ি বিভাজন স্পষ্ট। তৃনমূলের হেভিওয়েট নেতা তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে উপস্থিত হচ্ছেন। কিন্তু সেখানে মন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো নেতার নাম নিতে দেখা যাচ্ছে না তাকে। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বা দলের প্রতীক সেই সমস্ত সভাতে নেই। যার ফলে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

এককালে নন্দীগ্রামে গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উত্থান ঘটেছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু সেই নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার মাঝেই তিনি পৃথকভাবে সভা করায় কার্যত অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের। তবে শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা জবাব দিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই শহীদ দিবস উপলক্ষে অন্য এক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে‌। যার নেতৃত্বে রয়েছেন জমি আন্দোলনের অন্যতম নেতা শেখ সুফিয়ান। জানা গেছেহ এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমহ পূর্ণেন্দু বসু সহ অখিল গিরির মত বিধায়কদের।

বস্তুত, 10 নভেম্বর বেলা 10:30 নাগাদ গোকুলনগর পল্লীতে শহীদ বেদীতে মালা দেওয়ার কথা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। সেখান থেকে তিনি তেখালির জনসভায় যোগ দেবেন। এরপর বিকেল চারটে নাগাদ চৌরঙ্গী বাজারে একটি স্মরণসভায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। শুধু তার পাল্টা যেভাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অন্য একটি সভার আয়োজন করা হল, সেখানে তো তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল কার্যত প্রকাশ্যে চলে আসছে! পূর্ব মেদিনীপুরের শেষ কথা বলে অধিকারী পরিবার। সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী পৃথকভাবে সভা করলেও এবং তৃণমূলের নাম নিশান না নেওয়া সত্ত্বেও, পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে অন্য একটি সভার আয়োজন করায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পেল বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে খেজুড়ির এক তৃনমূল নেতা বলেন, “শুভেন্দুর সভায় লোক নিয়ে যাওয়ার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি সাড়া হয়েছে। কর্মীরাও তেখালির জনসভায় যাওয়ার জন্য তৈরি। তবে অন্য সভার ব্যাপারে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। তাই সেই সভায় যাওয়ার কোনো প্রশ্ন নেই।” অর্থাৎ কর্মী-সমর্থকদের সিংহভাগ শুভেন্দু অধিকারীর পথেই হাঁটতে শুরু করেছেন। সেদিক থেকে এককালে এই নন্দীগ্রামের আন্দোলনের বামেদের ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য তৃণমূলের ঐক্যবদ্ধ রূপ দেখা গেলেও, বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা বাড়তে শুরু করল।

যার ফলে এককালে নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের উত্থান ঘটলে এবং ক্ষমতার পথ প্রশস্ত হলেও, এবার সেই নন্দীগ্রামই তৃণমূল কংগ্রেসকে কার্যত ভরাডুবির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে দাবি করছে সমালোচক মহলের একাংশের। তাই অবিলম্বে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের দূরত্ব মিটিয়ে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করছেন সকলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়হ আগামী 10 নভেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দূরত্ব আরও তীব্র হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!