‘‘প্রধানমন্ত্রী কেবল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নন। তিনি ১৩০ কোটি মানুষেরও প্রধানমন্ত্রী।’’ মোদির স্তুতি যুবনেতার গলায় জাতীয় বিজেপি রাজনীতি November 11, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রথমে উত্তর প্রদেশ, এরপর বিহার এবং বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির জয়যাত্রা এভাবেই একের পর এক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করছে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিকরা। এ বিষয়ে সম্প্রতি বলতে গিয়ে বিজেপির দুরন্ত জয় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গেল জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। বস্তুত, তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল যে তাঁকে বড় কোন পদে দেখা যাবে। কিন্তু এদিন রাজ্যসভার সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য জানিয়ে দেন তিনি কোনো বড় পদের আশা করছেন না। তাঁর কথায়, তিনি বরাবরই মাটিতে নেমে কাজ করা কর্মী আর সেটাই তাঁর ভূমিকা। আর সেখানেই তিনি থাকতে চান বলেই জানিয়েছেন তিনি। কংগ্রেসের অনেকের মতো তিনি কোনদিনই চেয়ারের পিছনে দৌড়াননি বলেই দাবি করেন তিনি। যদিও সেইসব কংগ্রেস নেতা মন্ত্রীদের নাম করতে তিনি রাজি হননি, তবুও এদিন জয়ের পরে জ্যোতিরাদিত্যকে “টুকরে টুকরে গ্যাং” এর উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেছে। সেই সঙ্গে কংগ্রেসে দু’দশক থাকার পরেও বিজেপিতে যোগদান করা তাঁর কাছে যে সহজ বিষয় ছিল না, তাও তিনি মেনে নিয়েছেন। কিন্তু সেই সঙ্গে বিজেপির সতীর্থদের সাহায্যের কথা তিনি বলতেও তিনি ভোলেননি। বস্তুত এ দিন জ্যোতিরাদিত্যর কথায় উঠে আসে বিহারে ভোট প্রচারে বিজেপি নেতাদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়ার প্রসঙ্গও। এই বিষয়ে তিনি জানিয়ে দেন, ‘‘জয় শ্রীরাম স্লোগানে সমস্যাটা কোথায়? আপনি ধর্মনিরপেক্ষ হলে জয় শ্রীরাম বলতে পারবেন না? ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ অবশ্য এমনই দাবি করে।’’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শুধু তাই নয়, সেইসঙ্গে তিনি স্পষ্টই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে কেউ যদি দেশের একতা নষ্ট করতে চায়, তবে তাঁকে কঠোর শাস্তি পেতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশস্তি করতেও শোনা গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কেবল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নন। তিনি ১৩০ কোটি মানুষেরও প্রধানমন্ত্রী।’’ আর এভাবেই নিজের জয়কে তিনি দলের তথা প্রধানমন্ত্রীর জয় হিসেবে বৃহত্তর অর্থে কল্পনা করেছেন বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২৮টি আসনের অধিকাংশই বিজেপির দখলে চলে এসেছে। ইতিমধ্যেই ১৯টিতেই জয় পেয়েছে তারা। একদিকে যেখানে জয়ের ফলে যেখানে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নিজের শক্তি প্রদর্শন করলেন। সেখানেই তাঁর কংগ্রেস ছাড়ার পরে সেখানে কমল নাথ সরকারকে সরিয়ে সরকার গড়েছিল বিজেপি। তবে এক্ষেত্রে বিজেপি সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে যে সামান্যতম সংশয় ছিল, এবার উপনির্বাচনের পর সেটাও কেটে গেছে বলে জানা গেছে। আপনার মতামত জানান -