BREAKING NEWS – মমতার ঘুম উড়িয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা হেভিওয়েট বিধায়ক করলেন পদত্যাগ তৃণমূল বিশেষ খবর রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি November 12, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্রমশ তৃনমূলের ভেতরকার পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। একের পর এক বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। মূলত যে সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রাম থেকে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতা দখলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল, সেই সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রাম এবার বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের কাছে। একদিকে শুভেন্দু অধিকারীর দলের সঙ্গে দূরত্ব স্থাপন এবং অন্যদিকে সিঙ্গুরে কিছুদিন আগেই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের বিদ্রোহ। আর এবার শাসকদলের অস্বস্তিকে বাড়িয়ে দিয়ে সিঙ্গুর আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অত্যন্ত বিশ্বস্ত হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না নিজের বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করলেন। স্বভাবতই বিধানসভা নির্বাচনের আগেই হেভিওয়েট বিধায়কের নিজের পদ থেকে পদত্যাগ এখন ব্যাপক পরিমাণে অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল শাসকদলের বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধানসভায় গিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নিজের পদত্যাগপত্র তুলে দিলেন হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না। জানা গেছে, আগামীকাল শুক্রবার বেচারামবাবুর অনুগামীরা গণপদত্যাগ করবেন। কিন্তু কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল! কেন নিজের বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই হেভিওয়েট নেতা! বলাবাহুল্য, এই বেচারাম মান্নার সঙ্গে সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের দীর্ঘদিনের বিবাদ রয়েছে। সম্প্রতি দলের এক ব্লক সভাপতিকে সরানো নিয়ে প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। এমনকি তিনি দলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দলত্যাগ করার মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন। আর এরপর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা হুগলি জেলাজুড়ে। জানা যায়, বুধবার রাতে এই ব্যাপারে বেচারাম মান্নাকে ফোন করে ধমক দেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তারপরই বৃহস্পতিবার নিজের বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন বেচারাম মান্না। যাকে কেন্দ্র করে এবার ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইতিমধ্যেই কোচবিহারের দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী তৃনমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনি লড়াই করবেন না। আর এর মাঝেই দীর্ঘদিনের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্নার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা নয়া ইঙ্গিত সৃষ্টি করল বাংলার রাজনৈতিক মহলে। একাংশ বলছেন, এই সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রাম থেকেই এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। ক্ষমতা দখলের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বর্তমানে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন জল্পনা তৈরি হচ্ছে, ঠিক তখনই সিঙ্গুরের আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকা বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্নার পদত্যাগ তৃণমূলের অস্বস্তিকে দ্বিগুণভাবে বাড়িয়ে দিল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বেচারাম মান্না এবার দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন, নাকি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -