ফের একবার শিল্প নিয়ে মমতাকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ,জেনে নিন বিজেপি রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি November 25, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আসার পিছনে সেই সময় সিঙ্গুরের আন্দোলন যে বড় ভূমিকা নিয়েছিল, সেই কথা একযোগে মেনে নিয়েছেন বহু রাজনৈতিক। তবে তাঁদের মতে তারপর থেকে সিঙ্গুরকে সেভাবে কোনো খবরে আসতে দেখা যায়নি। সেভাবে কোনো উন্নতির কথাও চোখে পড়েনি। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি যে এটা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করবে সেটা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি সিঙ্গুর নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল অধীর চৌধুরীকে। সেখানে তিনি বলেছিলেন, শিল্প বন্ধ করে কীভাবে নটে শাক চাষ করতে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন। সেইসঙ্গে তাঁর কথায়, এমন আজব রাজ্য কোথাও পাবেন না বলেই কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সেই সিঙ্গুরের কাছেই সভা করে দিলীপ ঘোষকেও সেই একই ব্যাপারে কটাক্ষ করতে দেখা গেল। বস্তুত, উনিশের লোকসভা ভোটে এই সিঙ্গুরেই বিজেপি জিতেছে। এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “আচ্ছা বলুন তো, দিদিমণিকে মেলা, খেলা, উত্সব উদ্বোধন করতে আপনারা দেখেছেন। গত দশ বছরে কোনও কারখানা উদ্বোধন করতে দেখেছেন?” তাঁর কথায়, যদি সিঙ্গুরের জমির দিকে তাকানো যায়, তবে মুখ্যমন্ত্রীর শাড়ির মতো সাদা কাশফুলে ঢেকে রয়েছে বলেই মনে হয় বলে কটাক্ষ করতে দেখা গেছে তাঁকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেইসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলায় শিল্প স্থাপন হবে। যদিও এই কথার প্রেক্ষিতে হুগলির তৃণমূল নেতা দিলীপ যাদব জানিয়েছেন, সিঙ্গুরের কৃষকদের অধিকারের জন্য লড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা দেশ তাঁর সেই আন্দোলনের প্রশংসা করেছিল বলেও জানান তিনি। সেই সঙ্গে দল যে জোর করে জমি অধিগ্রহণ করতে চায় না, সেই কথাও বলতে শোনা গেছে তাঁকে। তবে বর্তমান সরকারের সেই নীতি যে শিল্পায়নের পথে অন্তরায় সে ব্যাপারে শিল্প ও বণিক মহলের একাংশ মন্তব্য করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেখানে দেখা গিয়েছিল বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম শাসনকালে সাংসদ সৌগত রায় শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান পদে মাত্র ২ বছর থাকার পর ইস্তফা দিয়েছিলেন। আর সেখানে অনেকে মনে করেছিলেন, সেই সময়ে জমি নীতি মতান্তরের কারণেই তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন। কারণ, তিনিও মনে করতেন সরকারের জমি নীতি শিল্পায়নের পথে বড় বাধা। আর সেখানে এদিন চন্দননগরের সভায় দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলে বেড়ান তাঁর সরকার রাজ্যের ৮০ শতাংশ লোককে ২ টাকা কেজি দরে চাল দেয়। কিন্তু আমি বলব উনি ৮০ শতাংশ লোককে ভিখারি করেছেন।” তাঁর কথায়, কেন বাংলার মানুষ ২ টাকা কেজির চাল খাবে বা কেন তারা কাজের সুযোগ পাবে না, কেন তাদের রোজগার বাড়বে না সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে তাঁকে। তাঁর কথায়, বাংলা ছেড়ে কেন মানুষকে মুম্বই, সুরাতে কাজ খুঁজতে যেতে হবে, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বস্তুত বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবেই বিজেপি বাংলার মানুষের মনে সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে বিজেপিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখানোর চেষ্টা করছে বলেই মনে করা হচ্ছে। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -