তৃণমূল নেতাদের চূড়ান্ত মতানৈক্যের জেরে লক্ষ লক্ষ টাকা এসে পড়ে থাকলেও থমকে মমতার সাধের উন্নয়ন তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি December 3, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেখানে বারবার বলা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে রাজ্যের মানুষের জন্য উন্নয়ন করার সর্বতো প্রচেষ্টা করা হচ্ছে, সেখানে সাম্প্রতিক খবরে অস্বস্তিতে পড়তে দেখা গেছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। জানা গেছে, উন্নয়নের টাকা পড়ে থাকলেও সেটা মানুষের স্বার্থে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। আর এই সমস্ত কিছুর পিছনে রয়েছে দলীয় কর্মীদের মতানৈক্য। যা নিয়ে সম্প্রতি তৃণমূলের অন্দরে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পুজোর কিছু আগে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৫২ লক্ষ টাকা বলাগড়ের পঞ্চায়েত সমিতির খাতে জমা পড়ে। তারপরেই সাধারণ সভাতে ঠিক করা হয় যে, পঞ্চায়েত সমিতির সমস্ত সদস্যের মধ্যে উন্নয়ন কাজের দায়িত্ব সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে। সেই মত, স্বাক্ষরও করা হয়। কিন্তু এরপরই অভিযোগ ওঠে যে এর কিছুদিন পরেই দলের কিছু কর্মাধ্যক্ষ নিজেদের এলাকার কাজ করতে চেয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলেন। অন্যদিকে, সেই প্রস্তাব আবার সভাপতির কাছে পাঠানো হলে তিনি সই করতে অস্বীকার করেন। এক্ষেত্রে তিনি দাবি করেন যে, সাধারণ সভা সমিতির সবচেয়ে বড় নীতিনির্ধারক কমিটি। আর তাই সেখানকার সিদ্ধান্তকে তিনি কোনোভাবেই বদল করতে পারবেন না। তাঁর মতে, সুষম উন্নয়নের জন্য সকল সদস্যের এলাকাতেই কাজ করা উচিত। কিন্তু জানা গেছে, এই কথা বলার পর, তাঁকে তাঁর অফিসের মধ্যেই কর্মাধ্যক্ষদের একাংশের রোষের মুখে পড়তে হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে তৃণমূল জেলা নেতৃত্বকে ঘটনা সামলাতে হস্তক্ষেপ করতে হয়। আর এই টানাপোড়েনের মাঝে উল্টে উন্নয়নমূলক কাজটিই বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ফলে সেই থেকে ৫২ লক্ষ টাকাও খরচ করা যায়নি বলেই জানা গেছে। অন্যদিকে, দু’বছর রাজ্য সরকার বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতিকে কোনও টাকা দেয়নি। এতদিন বাদে ৫২ লক্ষ টাকা পেয়েও পঞ্চায়েত সমিতি তা উন্নয়নের কাজে লাগাতে পারেনি দেখে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আর এরপরই পরিস্থিতি বুঝে সম্প্রতি স্থানীয় বিধায়ক অসীম মাঝি এই নিয়ে বৈঠক করেন বলে জানা গেছে। আর সেখানে একটি সমাধান সূত্র বেরিয়ে এসেছে বলেও তিনি দাবি করেছেন। যদিও সমাধান সূত্র পাওয়া গেলেও এখনও উন্নয়নের কাজ শুরু হয়নি বলেই পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে সমিতির সাধারণ সদস্যদের একটি অংশের অভিযোগ, কর্মাধ্যক্ষদেরই একাংশ এই ঘটনার জন্য দায়ী। সেইসঙ্গে বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানান, সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, উন্নয়নের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। তাঁদের পরিকল্পনা তৈরি আছে। কেবল কার্যকর করা বাকি। ৫২ লক্ষ টাকার পুরোটাই মানুষের স্বার্থে খরচ করা হবে বলেও এদিন জানান তিনি। তাঁর মতে, কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে। অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক অসীম মাঝি জানান, মতান্তর হয়েছে মানুষকে আরও বেশি পরিষেবা দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে। তাই এটি একটি ইতিবাচক মানসিকতার পরিচয় বলেই ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -