করোনার মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বাংলায় আগমন নিয়ে কটাক্ষ মমতার, বিজেপিকে সংযত হওয়ার বার্তা! জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য May 6, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন চলার কারণে হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা ভাইরাস। আর বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার পরেই তার প্রধান কাজ যে এই ভয়াবহ ভাইরাসকে আটকানো, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মত বুধবার শপথ নেওয়ার পরই করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করতে দেখা যায় তাকে। তবে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় যখন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার, তখন বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। আর সেই হিংসার ঘটনার মোকাবিলা করতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা পশ্চিমবাংলায় আসতে শুরু করেছেন। এমনিতেই নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, বাইরে থেকে লোক এসে বাংলায় করোনা ভাইরাস বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর এবার সরকার গঠন হওয়ার পরেও যেভাবে হিংসার মোকাবিলা করতে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় নেতারা বাংলায় ছুটে আসছেন, এবার তা নিয়ে সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে করোনা ভাইরাসের সময় মিটিং মিছিল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও, কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাংলায় আসছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপিকে সংযত থাকার বার্তা দিলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। প্রসঙ্গত, আজ মেদিনীপুরে হিংসার ঘটনার মোকাবিলা করতে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপস্থিত হন। যেখানে তার সাথে ছিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। আর সেখানেই সেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এদিন এই ব্যাপারে নবান্নে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিয়ে বলেন, “করোনায় বন্ধ রয়েছে মিটিং-মিছিল। তাও কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বাংলায় আসছেন? ভোট পরবর্তী হিংসা না হওয়ার জন্য শান্তির বার্তা দিয়েছি। সংযত হোক বিজেপি। মানুষের রায় মেনে নিন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অর্থাৎ করোনা ভাইরাস যখন বাড়ছে, তখন মিটিং-মিছিল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের রাজ্যে আসা যে বৃথা, তা নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। এক্ষেত্রে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, বাংলার মানুষ তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষে রায় দিয়েছে। তাই বিজেপি যেন অযথা অশান্তি সৃষ্টি না করে। অর্থাৎ পরোক্ষে বাংলার হিংসার ঘটনা বাড়ার জন্য গেরুয়া শিবিরকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বাংলায় হিংসার ঘটনা বাড়তে শুরু করেছে। রাজ্যপাল থেকে শুরু করে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের এই ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত বলে দাবি করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে সকলকে সংযত থাকার আবেদন জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু হিংসার ঘটনা নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যে এসে এই বিষয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেছেন। তবে এই ঘটনা যে তিনি খুব একটা ভালো চোখে নিচ্ছেন না, তা সাংবাদিক বৈঠক থেকে বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করতে সরকার উদ্যত, সেখানে মিটিং-মিছিল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কেন এভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যে আসছেন! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -