তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে না আসতেই ফের তোলাবাজির অভিযোগ তৃণমূলের যুবনেতার বিরুদ্ধে তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য May 20, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে সবথেকে বেশি রাজ্যের গণতন্ত্র ধ্বংস করা এবং তৃণমূল নেতাদের দ্বারা মানুষের সম্পত্তি হরন এবং তোলাবাজির অভিযোগ তুলতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। আর শাসকদলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ বিরোধীদের পক্ষ থেকে তোলার কারণে অনেক মানুষ তাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেতাদের স্বজনপোষণ এবং তোলাবাজির বিরুদ্ধে রায় দিয়ে বিজেপিকে সমর্থন করেছিল বাংলার মানুষ। তৃণমূল 22 টি আসন পেলেও 18 টি আসন পেয়ে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বাভাবিক ভাবেই বিধানসভা নির্বাচনে সেই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির ইস্যুকে সামনে রেখে প্রচার করতে শুরু করেছিল গেরুয়া শিবির। তবে সেভাবে তারা সাফল্য না পেলেও অনেকের মনেই তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, কর্মীরা যদি মানুষকে একইভাবে সমস্যায় ফেলতে শুরু করেন, তাহলে সাধারন মানুষ কোথায় যাবেন, তা নিয়ে চিন্তা বাড়তে শুরু করে। তবে প্রথম থেকেই রাজ্যবাসীকে অভয় দিয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 2011 সালে প্রথম ক্ষমতায় আসার পর কোনোভাবেই তোলাবাজি এবং কাটমানি নেওয়া যে তার দল বরদাস্ত করবেন না, তা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন জায়গায় তার দলের নানা নেতাদের তোলাবাজির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আর তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে না আসতেই এবার ফের তোলাবাজির ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়ল এক তৃণমুল যুবনেতার। যেখানে করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলাবাজি করার অভিযোগ উঠল শাসকদলের যুব সংগঠনের এক নেতার বিরুদ্ধে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, তমলুক বেসরকারি নার্সিংহোমের পক্ষ থেকে তৃণমূলের যুব নেতা পার্থসারথি মাইতির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার নাম করে টাকা তুলছেন তৃণমূলের এই যুব নেতা। যেখানে নার্সিংহোমগুলোর কাছ থেকে 5 হাজার থেকে শুরু করে 20 হাজার টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে খবর। আর তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই করোনা ভাইরাসের মত ভয়াবহ রোগ যখন বাড়ছে, তখন তার সুযোগ নিয়ে তৃণমূল যুব নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ ওঠায় রীতিমত অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। বারবার যেখানে দুর্নীতি দমন করার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে না আসতেই তার দলের যুব সংগঠনের নেতার এই ধরনের কুকীর্তি বিরোধীদের হাতে যে বাড়তি হাতিয়ার তুলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে তমলুকের সেই নার্সিংহোমের মালিক বলেন, “আমরা এসপি সাহেব এবং এসডিপিও সাহেবের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। কিছু অসাধু ব্যক্তি করোনার এই পরিস্থিতিতে আমরা যেভাবে সর্বক্ষণ পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছি, তার পরেও নার্সিংহোমগুলোর কাছ থেকে এসে টাকা দাবি করছে। ওনারা বলছেন, করোনা রোগীদের খাবার দেবেন। কিন্তু শুধুমাত্র হ্যান্ডবিল ছাড়া কিছুই ওদের কাছে নেই।” তবে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হলেও তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা পার্থসারথি মাইতি। এদিন তিনি বলেন, “অভিযোগ করেছেন। প্রমাণ করার দায়িত্ব তাদের। অভিযোগ তো প্রমাণ করতে হবে। এখন সমস্ত হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। যদি দেখা যায়, আমরা কারও কাছে টাকা চেয়েছি, তাহলে সেটা তারা প্রমাণ করুক। তবে আমরা গিয়েছি, সেই ছবি আমাদের কাছেও আছে। মানুষের কাছে আমরা ভিক্ষা চেয়েছি যে, আমাদের চাল, ডাল দান করা হোক। কারণ আমরা যেটা করছি, সেটা আমাদের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষমতায় আসার পরপরই এই ধরনের ঘটনা নিঃসন্দেহে শাসকদলের কাছে অস্বস্তির কারণ। নাসিংহোম কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরকে যে যথেষ্ট চাপের মুখে ফেলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -