এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ভরাডুবির গ্লানি ভুলে পুরভোটে ঝাঁপানোর পরিকল্পনা, নয়া স্ট্র্যাটেজি পদ্ম শিবিরের!

ভরাডুবির গ্লানি ভুলে পুরভোটে ঝাঁপানোর পরিকল্পনা, নয়া স্ট্র্যাটেজি পদ্ম শিবিরের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের মধ্যে দিয়ে বিজেপি বুঝিয়ে দিয়েছিল, তারা এবার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করছে। কিন্তু শেষ কথা বলে সাধারণ মানুষ। সেক্ষেত্রে ভোটবাক্স খোলার পর প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, বিজেপি নয়। বাংলার মানুষ এবারও ভরসা রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর। মূলত এবারের বিধানসভা নির্বাচনে 200 আসন দখল করে তারা রাজ্যের ক্ষমতায় আসছে বলে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ রাজ্য বিজেপি নেতাদের।

কিন্তু বাস্তবে ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেছে, দুই অঙ্কের সংখ্যার পেরোতে পারেনি গেরুয়া শিবির। 77 টি আসন দখল করে রাজ্যে বিরোধী দলের জায়গা পেয়েছে তারা। আর তারপরেই দলে ভাঙ্গন ধরতে শুরু করেছে। ভোটের আগে তৃণমূল থেকে আসা একের পর এক নেতা-নেত্রীরা আবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন।

আর এই পরিস্থিতিতে দলের ভাঙ্গন আটকানো এবং পরবর্তীতে পৌরসভা থেকে শুরু করে স্থানীয় স্তরের একাধিক নির্বাচনে বিজেপি কিভাবে নিজেদের সাফল্য দেখাবে, এখন সেটা নিয়ে দলের অন্দরে শুরু হয়েছে চর্চা। বস্তুত, রাজ্যের একাধিক পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাস থাকার কারণে একবছর ধরে সেই সমস্ত পৌরসভার নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না।

তবে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ কমতে শুরু করলেই সেই সমস্ত পৌরসভার নির্বাচন করানোর দিকে উদ্যত হতে পারে রাজ্য বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে বসে না থেকে এখন থেকেই পৌরসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে শুরু করল ভারতীয় জনতা পার্টি। এক্ষেত্রে বিধানসভা নির্বাচনে তারা রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও, 2016 সালে হাতেগোনা কয়েকটি বিধায়ক পেয়েছিল গেরুয়া শিবির।

আর সেদিক থেকে একেবারে এক লাফে পাঁচ বছরের মধ্যে 77 টি আসন দখল করা যে মুখের কথা নয়, তা বুঝতে পারছেন গেরুয়া শিবিরের অনেক নেতাও। তবে ক্ষমতা দখলের টার্গেট দিয়েও যেভাবে তারা বিরোধী দলের আসন দখল করেছে, তাতে কিছুটা হলেও হতাশ হয়ে পড়েছেন অনেকে। তাই রাজ্যে বিরোধী দলের জায়গা দখল করার পর এবার পৌরসভাগুলো দখল করতে মানুষের মন জয়ে এখন থেকেই রাস্তায় নামার পরিকল্পনা নিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

বস্তুত, পৌরসভা নির্বাচনে সাফল্য পেতে বিজেপি বুথের সংগঠনের ওপর জোর দিতে শুরু করেছে। স্থানীয় স্তরে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ সহ তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুকে কাজে লাগাতে চাইছে তারা। এক্ষেত্রে শাসকদলের নানা দুর্নীতির কথা তুলে ধরে পৌরস্তরে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছে পদ্ম শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা বাংলায় হতে চলা পৌরসভা ভোটকে মোটেই হালকাভাবে নিচ্ছি না। আমরা ইতিমধ্যেই দেখেছি, গ্রাম বাংলার বহু পঞ্চায়েতে বিজয়ী হওয়ার পরেও কিভাবে তৃণমূল আমাদের নেতাদের পঞ্চায়েত চালাতে যায়নি। স্রেফ গায়ের জোরে পঞ্চায়েত পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হয়েছে। বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের আক্রমণ করা হয়েছে। ফলে আমরা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সংগঠিত সংগঠনের মধ্যে দিয়ে পৌরভোটের লড়াইয়ে নামব।”

অর্থ্যাৎ বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় হলেও এবার যে স্থানীয় স্তরের নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিজেপি এখন থেকেই তৎপর হয়ে উঠেছে, তা বলাই যায়। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি এবার তাদের টার্গেটে পৌঁছতে না পারলেও, বিধানসভার ফলাফলে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, অনেক পৌরসভার মানুষ বিজেপির প্রতি আস্থা রেখেছেন।

এক্ষেত্রে রাজ্যের অনেক পৌর এলাকাতে তৃণমূল প্রার্থীদের থেকে এগিয়ে থেকেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বাভাবিক ভাবেই পৌরসভা নিয়ে ক্রমশ আশা বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের। তাই নির্বাচনের দিন ঘোষণার জন্য অপেক্ষা নয়। বরঞ্চ এখন থেকেই মাঠে নেমে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!