এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অবশেষে শুরু হতে চলেছে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন, রাজ্যপালের ভাষণের দিকে তাকিয়ে গোটা রাজনীতি মহল

অবশেষে শুরু হতে চলেছে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন, রাজ্যপালের ভাষণের দিকে তাকিয়ে গোটা রাজনীতি মহল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ রাজ্যপালের ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন। আজ দুপুর দুটোর সময় রাজ্যপালের ভাষণ শুরু হবার কথা। তবে, আজ রাজ্যপাল প্রথাগতভাবে সরকারের তৈরি করার ভাষণ পাঠ করবেন? নাকি তার কোন অংশ সংযোজন-বিয়োজন করবেন? সে প্রশ্ন এখন সকলের মুখে। কারণ ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল ভাষণের বেশ কিছু অংশ নিয়ে আপত্তি করেছেন। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার কথা জানিয়েছিলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনায় বসেন নি, প্রথাগত রীতি অনুযায়ী মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ভাষণই রাজ্যপালকে পাঠ করতে হবে বলে জানিয়েছেন।

গত বছরের বাজেট অধিবেশনের সময়ও ভাষণ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সংঘাত বেঁধেছিলো। তবে গতবছর মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ভাষণই পাঠ করেছিলেন রাজ্যপাল। তবে, এবার ভাষণের বেশ কিছু অংশ নিয়ে রাজ্যপাল যথেষ্ট আপত্তি করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই বয়ানে রাজ্যের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরা হয়নি। এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, সরকারের তৈরি করা ভাষণ পাঠ না করে, রাজ্যের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরুন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই আবহে আজ রাজ্যপাল সরকারের তৈরি করে দেওয়া বয়ান পাঠ করবেন? নাকি কোন অংশ সংযোজন-বিয়োজন করবেন? সে দিকেই রয়েছে সকলের দৃষ্টি। ভাষণ নিয়ে একাধিকবার পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য -রাজ্যপাল সঙ্ঘাত বেধেছে। অভিযোগ উঠেছে, রাজ্যপালকে দিয়ে অসত্য বলিয়ে নিয়েছে সরকার। আবার অনেক ক্ষেত্রে রাজ্যপাল আপত্তিকর অংশ বাদ দিয়ে বাকি অংশ পাঠ করেছেন। যেমন ১৯৬৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ধর্মবীর ভাষণের কিছু অংশ বাদ দিয়েছিলেন। আবার ইতিপূর্বে ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়, বামফ্রন্ট সরকারের দেওয়া ভাষণের একটি অংশ বাদ নিয়েছিলেন। কেরালাতেও এমন ঘটনা ঘটেছিল।

এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন আমলা জহর সরকার জানিয়েছেন যে, সংবিধানের ১৬৩ নম্বর ধারার প্রথম অনুচ্ছেদে জানানো হয়েছে যে, মন্ত্রিসভার পরামর্শের বাইরে রাজ্যপাল অন্য কিছু পাঠ করতে পারেন না। তাই, মন্ত্রিসভার ভাষণই রাজ্যপালকে পাঠ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছেন যে, রাজ্যপাল হলেন এক্ষেত্রে মঞ্চের মাইক, সরকার হলো গানের শিল্পী। সরকার যেমন গান গাইবে, মাইক দিয়ে সেটাই বের হবে, এর বাইরে কিছু করার নেই।

আবার, এ প্রসঙ্গে সংবিধান বিশেষজ্ঞ সুভাষ কাশ্যপ জানিয়েছেন যে, রাজ্যপাল মন্ত্রিসভার তৈরি করে দেওয়া ভাষণ থেকে কিছু অংশ বাদ দিতে বা কিছু অংশ যোগ করতে পারেন কিনা? তা সংবিধানে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি। রাজ্যপালের ভাষন কতটা থাকবে? বা বাদ যাবে? সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে বিধানসভার স্পিকারের। এক্ষেত্রে সকলে একমত না হলে রাজ্যপালের লিখিত ভাষণ বিধানসভাতে পেশ করা হলে সেটিকেই নথি হিসেবে ধরে নেয়া হবে। মনে করা হবে, এটিই রাজ্যপালের পূর্ণাঙ্গ ভাষণ। সরকার নীতিগতভাবে রাজ্যপালের ভাষণে বাঁধা দিতে চাইছে না। তবে তিনি যদি অনুমোদিত ভাষনের বাইরে কিছু অংশ বলতে চান, তবে সে ক্ষেত্রে কি হবে? তা বলা সহজ নয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!