ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় রাজ্যের অস্বস্তি ক্রমেই বাড়িয়ে দিচ্ছে আদালতের একের পর এক পদক্ষেপ কলকাতা তৃণমূল বিশেষ খবর রাজনীতি রাজ্য July 23, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আদালতে বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা দিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাটিতে হাজার হাজার মানুষের ওপর নৃশংস অত্যাচার, খুন, ধর্ষণের অকল্পনীয় ঘটনা ঘটছে। আইনের শাসন বলে কিছু নেই। রাজ্যে শাসকের আইন চলছে। এরপর গতকাল এই মামলার শুনানি চলে হাইকোর্টে। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। মামলার শুনানিতে গতকাল হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী ২৬ সে জুলাই এর মধ্যে এর হলফনামা আবশ্যিকভাবে জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। আগামী ২৮ সে জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের প্রতি প্রবল অভিযোগ তুলতে দেখা যায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবিদের। অভিযোগ ওঠে, এখনো পর্যন্ত রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আদালতের পর্যবেক্ষণে জানানো হয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুতে একাধিক অভিযোগের ঠিকমতো তদন্ত করা হয়নি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। আদালতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, যেহেতু ঘটনার সঠিকভাবে তদন্ত করে নি রাজ্য সরকার। তাই এই মুহূর্তে তদন্তের প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আবার, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের যে অংশে ধর্ষণের ঘটনা, অভিযোগের বিবরণ আছে। সেই অংশকে দেয়া হয়নি। বাকি অংশ রাজ্য ও মামলাকারীদেরকে দেয়া হয়েছে। তবে, রাজ্যের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই অংশও তাদের দেবার জন্য। না হলে উত্তর দেওয়া অসম্ভব। রাজ্যের পক্ষ থেকে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছেন যে, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে অসঙ্গতি রয়েছে। ভোটের আগের ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো নিরপেক্ষ সংস্থার কাছে তা মোটেই কাম্য নয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, রিপোর্ট সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এরপর মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি জানিয়েছেন, কমিশনের বক্তব্য এটা গোপনীয় বিষয়, তাই তা দেওয়া হয়নি। আদালত যা বলবে তাই তাঁরা করবেন। এদিকে, ভোটের যেদিন ফল প্রকাশ করা হয়, তার পরদিনই এক বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টিও গতকাল আদালতের শুনানিতে উঠে আসে। জানা যায়, তাঁর দেহ এখনো পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারেনি তাঁর পরিবার। দুবার ময়নাতদন্ত হবার পরেও দেহ সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাই ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল আদালতের পক্ষ থেকে। তবে, তাঁর পরিবারের সন্দেহ, সেক্ষেত্রেও পুলিশ তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এক্ষেত্রে, অন্য কারো ডিএনএ টেস্ট করতে পাঠানো হয়েছে। তাই গতকাল আদালত এই পরীক্ষার ভিডিওগ্রাফি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসার এই রিপোর্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই রিপোর্ট সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আপনার মতামত জানান -