এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আদালতের চাপে মানবাধিকার কমিশন, বড়সড় স্বস্তিতে রাজ্য!

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আদালতের চাপে মানবাধিকার কমিশন, বড়সড় স্বস্তিতে রাজ্য!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের চাপে এমনিতেই ব্যাকফুটে রাজ্য সরকার। যেখানে বিভিন্ন জায়গার কথা তুলে ধরে সেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে অনেক তৃণমূল নেতাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যার জেরে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে রাজ্য প্রশাসনের। তবে রাজ্যের পক্ষ থেকে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, এই রিপোর্ট প্রতিহিংসাপরায়ণ উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে। এর সঙ্গে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের যোগ রয়েছে বলেও দাবি করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের।

তবে এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে রাজ্য সরকার অস্বস্তিতে পড়লেও, হাইকোর্টের কাছে ধমক খেতে হল সেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে। যেখানে কমিশনের আইনজীবীর সওয়ালে রীতিমতো বিরক্ত বোধ করেছেন বিচারপতি। স্বভাবতই এতদিন কমিশনের রিপোর্টে রাজ্য সরকার চাপের মুখে পড়লেও, এবার হাইকোর্টের সওয়াল পর্বে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে পড়ে যায় স্বস্তিতে রাজ্য সরকার।

সূত্রের খবর, এদিন হাইকোর্টে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবীকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বলেন, “ভোট পরবর্তী আসল ঘটনা জানতে এনএইচআরসিকে নিরপেক্ষ হয়ে অনুসন্ধান করতে বলা হয়। কমিশন অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দিয়েছে। তদন্তের কি হবে, তা আদালতের বিচার্য বিষয়। কমিশনের আইনজীবী প্রতিদ্বন্দ্বির বিবাদীর মত আচরণ যেন না করেন।” আর বিচারপতি কমিশনের আইনজীবী উদ্দেশ্যে এই ধরনের প্রশ্ন করার পরেই যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের স্বস্তিও যে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বলা বাহুল্য, বর্ধমান এবং কোচবিহারের দুটি ঘটনার কথা তুলে ধরে অভিযোগকারীদের তথ্য প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার কারণে পুলিশ এবং শাসক দলের পক্ষ থেকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী। আর এরপরেই নিরপেক্ষ সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া উচিত বলে কমিশনের আইনজীবীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। যার জেরে রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়।

আর তারপরেই কমিশনের আইনজীবীকে এই ধরনের আচরণের জন্য তিরস্কার করতে দেখা যায় তাকে। আর এই পরিস্থিতিতে এতদিন মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে রাজ্য সরকার যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছিল। আর এবার সরাসরি সেই মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী আদালতের পক্ষ থেকে চাপে পড়ে যাওয়ায় রাজ্য প্রশাসন কিছুটা হলেও স্বস্তি পেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!