এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > আবার করোনা টিকা নিয়ে দুর্নীতি ধরা পড়ল রাজ্যে, চরম অস্বস্তি প্রশাসনের অলিন্দে

আবার করোনা টিকা নিয়ে দুর্নীতি ধরা পড়ল রাজ্যে, চরম অস্বস্তি প্রশাসনের অলিন্দে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টকরোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রয়োজন ভ্যাকসিনের। আর এই ভ্যাকসিন নিয়ে একের পর এক ঘটনা সামনে আসছে। কিছুদিন আগে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে দেবাঞ্জন দেবের নাম সামনে এসেছিল। আর এবার ভ্যাক্সিন কাণ্ডে অভিযুক্ত হলেন আরেক চিকিৎসক। নিজের চেম্বার থেকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ায় অভিযুক্ত হয়েছেন পুরসভার এই চিকিৎসক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার পানিহাটিতে। তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই ঘটনায়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চিকিৎসক বিপ্লব রুদ্রকে ইতিমধ্যেই পানিহাটি পুরসভার মেডিকেল অফিসার পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, অভিযুক্ত চিকিৎসক কিভাবে ভ্যাকসিন জোগাড় করেছিলেন?

অন্যদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত। একইসাথে পুরসভার পক্ষ থেকেও তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে পানিহাটির বিধায়ক এবং মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি পুলিশি তদন্তসাপেক্ষ। কিভাবে অভিযুক্ত চিকিৎসক নিজের ব্যক্তিগত চেম্বারে টিকার জোগাড় করলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে পুলিশ বিশেষ কিছু জানতে পারেনি। তবে বিধায়ক নির্মল ঘোষ এই ঘটনার সঙ্গে পুরসভার জড়িত থাকার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে পানিহাটি প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সোমনাথ দে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত চিকিৎসক বিপ্লব রুদ্রকে ইতিমধ্যেই পুরসভার মেডিকেল অফিসার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি ওই চিকিৎসক কিভাবে এবং কার কাছ থেকে প্যাড সংগ্রহ করেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কার্যত জানা গিয়েছে, পুরসভার সাধারণত একটি ভাওয়াল থেকে 10 জনকে টিকা দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে দশের বেশি কাউকে টিকা দেওয়া হচ্ছিল কি না তা দেখা হবে। এবং এখান থেকেই টিকা সরানো হয়েছে কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে। অন্যদিকে পানিহাটিতে টিকা চক্রের পর্দা ফাঁস হতেই এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত চিকিৎসক বিপ্লব রুদ্রকে খড়দা পুলিশের তরফ থেকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও শনিবার রাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনা জেলাশাসক জানিয়েছেন, পানিহাটির ভ্যাকসিন কাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক লিখিত বয়ান দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকে লিখিত বয়ানের ভিত্তিতে কিভাবে পুলিশ ছেড়ে দিল? ইতিমধ্যেই জেলার ডেপুটি স্বাস্থ্য আধিকারিকের তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। এই তদন্তের সূত্রে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। আর সেখান থেকেই অনুমান করা হচ্ছে, অভিযুক্ত চিকিৎসককে ছেড়ে দেওয়ার পেছনে প্রমাণ লোপাটের সম্ভাবনা থাকতে পারে। পাশাপাশি তদন্তের গতি যে ব্যাহত হবে, তা আলাদা ব্যাপার। অন্যদিকে টিকা চক্রের পর্দা ফাঁস হতেই পানিহাটি পুরসভার অস্বস্তি চরমে উঠেছে।

কার্যত একজন চিকিৎসক যখন ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের চেম্বারে টিকা দিচ্ছেন, তখন তাঁর কাছে পুরসভার নথি কিভাবে পৌঁছালো তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযুক্ত অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি পুরসভার প্যাড ও স্টাম্প নিজেই এনেছেন। তবে টিকা তিনি আনেননি। যদিও অভিযুক্তের দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। কার্যত অভিযুক্ত চিকিৎসক বিপ্লব রুদ্র পুরসভার চুক্তিভিত্তিক মেডিকেল অফিসার ছিলেন এবং আট নম্বর ওয়ার্ডের দু’নম্বর প্রাইমারি হেলথ সেন্টারের দায়িত্বে ছিলেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই আরবান এলাকার দায়িত্বে থাকেন মেডিকেল অফিসাররা। সেক্ষেত্রে টিকা বন্টনের দায়িত্বে থাকেন তাঁরা। তাই সেখান থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসক টিকা সরিয়েছে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ।

আপাতত অভিযুক্ত চিকিৎসককে একের পর এক প্রশ্ন করা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তাতে বিশেষ কোনো আলোর সন্ধান মেলেনি। তবে এই ঘটনা যে আবারও নতুন করে ভ্যাকসিন বিতর্ক উস্কে দিল, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। যেখানে রাজ্য সরকার বারংবার অভিযোগ করছে প্রতিষেধক কম আসছে বলে, সেখানে এইভাবে টিকা দুর্নীতি চরম অস্বস্তির মুখে ফেলছে রাজ্য সরকারকে। আপাতত এই পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেওয়া হয়, সে দিকেই থাকছে নজর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!