ভবানীপুর থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও বড়সড় লড়াইয়ে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 2, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রয়াস সত্ত্বেও বিধানসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল লাভ করতে পারেনি বিজেপি, তাই দলের কর্মীদের একাংশ হতাশ হয়ে গেছেন, এরপর গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো চলছে দলের ভাঙ্গন। একের পর এক বিধায়ক এমনকি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পর্যন্ত যোগ দিলেন তৃণমূলে। তবে এই অবস্থাতেও ভবানীপুরে তৃণমূলের চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে গেরুয়া শিবির। আর ভবানীপুর থেকে শিক্ষা নিয়েই আগামী দিনে আরো বড়সড় লড়াইয়ে নামতে চলেছে বিজেপি। গতকাল বিজেপির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বসেছিল। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির বহু বিধায়ক এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি অগ্নিমিত্রা পাল, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, নীরজ জিম্বা, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, সুকুমার রায়, দিবাকর ঘরামি প্রমুখদের। তবে সুকুমার রায় ও দিবাকর ঘরামি অসুস্থতার জন্য উপস্থিত থাকতে পারেননি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গতকালের বৈঠকে দলের পরিকল্পনা নিয়ে একাধিক আলোচনা চলে বিজেপির মধ্যে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন যে, আগামী দিনে এক বিশেষ কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাবে বিজেপি। তা ঠিক করতে হবে। এ কারণে বিধানসভার ভেতরে থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী, বিধানসভার বাইরে থাকবেন তিনি, আর সবার উপরে থাকবেন দিলীপ ঘোষ। এই কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাবে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ব্যক্তিগত স্বার্থ ছেড়ে বৃহত্তর স্বার্থে বাঁচতে হয়। বিজেপি ছেড়ে চলে গেছেন যারা, তাদের তিনি অনুরোধ করছেন, পারলে আবার তাঁরা দলে ফিরে আসুন। তিনি জানিয়েছেন, যারা বিজেপির নীতি ও আদর্শ নিয়ে দলে এসেছেন, তাঁরা দলে থাকবেন বলেই, বিশ্বাস তাঁর। আবার গতকাল শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, যে সমস্ত বিধায়কেরা দল ছেড়ে গেছেন, তাঁরা যেন এটা না মনে করেন যে, তাঁরা হাত গুটিয়ে বসে আছেন। গতকালের বৈঠকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এভাবে বড়োসড়ো লড়াইয়ে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। রাজ্যের ক্ষমতা দখলে সক্ষম না হলেও প্রধান বিরোধীদল রুপে নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছে বিজেপি। আর বিরোধী পরিসর সম্পূর্ণ বিজেপির দখলে থাকা বাড়তি সুবিধা করে দিয়েছে দলকে। আর এবার বিধানসভার ভেতরে ও বাইরে তৃণমূলকে চাপে রেখে বিজেপির এই বড়োসড়ো লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত, যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি। আপনার মতামত জানান -