এবার তৃণমূল বিধায়কের কোপে দলের প্রভাবশালী নেতা, ব্যাপক গুঞ্জন দলের অন্দরে উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য November 21, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তরবঙ্গে বরাবরই পাল্লা ভারী বিজেপির। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও যেখানে দক্ষিণবঙ্গে গেরুয়া শিবিরকে সাফ করে দিয়েছিল তৃণমূল, সেখানে কিন্তু উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবির তার প্রভাব প্রতিপত্তি বজায় রাখে। কিন্তু উপনির্বাচনে বোঝা গেছে, গেরুয়া শিবির কিন্তু ধীরে ধীরে ক্ষমতা হারাচ্ছে। দিনহাটায় যেখানে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক জয়লাভ করেছিলেন। সেখানে কিছুদিনের ব্যবধানে উপনির্বাচনে বিশাল ভোটে জিতে আসেন তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ। আর তারপর থেকেই দিনহাটার বিধায়ক তথা দলের জেলা চেয়ারম্যান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলকে শক্তিশালী করার। আর সেই সূত্রেই এবার দল থেকে বাদ দিলেন জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নুর আলমকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল শিবিরের অন্দরেও শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যাপক গুঞ্জন। সূত্রের খবর, দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ এবং কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘোষণা করেছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাঁদের অভিযোগ, জেলায় একের পর এক পঞ্চায়েতে যে অনাস্থা আনা হয়েছে, তার পেছনে রয়েছে দলের অন্যতম নেতা নুর আলম আর তাই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে এই নুর আলম কিন্তু সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আর তাই এই বহিষ্কারের প্রসঙ্গে নুর আলমের সাথে সাথে জগদীশ বসুনিয়াও তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। নুর আলম ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত তিনি জানেন না। তবে তাঁকে কোনো নোটিশ ধরানো হয়নি দলের পক্ষ থেকে, তাই এবার তিনি উর্দ্ধতন নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন। অন্যদিকে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়াও ক্ষোভের সাথে জানিয়েছেন, তার বিধানসভা এলাকার কোন কর্মীকে দল বহিষ্কার করে থাকলে দলের কর্তব্য আগে তাঁকে জানানো। তবে তিনিও উর্দ্ধতন নেতৃত্বেরও সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা ঘাসফুল শিবিরে নতুন সমস্যা তৈরি করতে পারে। এবং সে সমস্যাটি যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আপাতত উর্দ্ধতন নেতৃত্ব এই সমস্যাটি কিভাবে সমাধান করে, সে দিকেই নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের। আপনার মতামত জানান -