মধ্যরাতেই বড়সড় সিদ্ধান্ত রাজ্যপালের! ঘুম ভেঙ্গেই চমকে উঠলেন মমতা! রাজ্য September 4, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপালের একের পর এক পদক্ষেপ রীতিমত অস্বস্তি এবং বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। বলা ভালো, তার থেকেও বেশি রাজ্যপালকে কোনোমতেই সহ্য করতে পারছেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয় গুলো যাতে স্বয়ং শাসিত ভাবে চলতে পারে, তার চেষ্টা করছেন। আর তাতেই ক্ষেপে উঠছেন রাজ্য সরকারের হর্তা কর্তা বিধাতারা। আর রাজ্যকে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দিয়ে মধ্যরাতে রাজ্যের 16 টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করে দিলেন রাজ্যপাল। অনেকে বলছেন, রাজ্যপালের এই মধ্যরাতের সিদ্ধান্তে হয়তো সকালে উঠে ঘুম ভেঙ্গে হতচকিত হয়ে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সূত্রের খবর, রবিবার মধ্যরাতে রাজভবনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্যের 16 টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল। ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজের মতো করে পরিচালনা করা এবং তাদের উপর সমস্ত স্বাধীনতা ছেড়ে দেওয়াই সরকারের কর্তব্য। কিন্তু তা না করে সরকার পক্ষ যখন নিজেদের মত করে বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচালনা করতে চাইছেন, তখন রাজ্যপাল সেখানে হস্তক্ষেপ করে তাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন বলেই দাবি একাংশের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবারও একটি চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজভবন। যেখানে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে শেষ কথা বলবেন উপাচার্য। এক্ষেত্রে রাজ্যের দেওয়া কোনো নিয়ম পালন করতে বাধ্য নয় সেই বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি আচার্য হিসেবে রাজ্যপালের দেওয়া নির্দেশিকা গ্রহণ করতে হবে সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। অর্থাৎ এক কথায় উপাচার্য এবং আচার্যের মত অনুযায়ীই যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলবে, তা রাজভবনের নির্দেশিকায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে এমনিতেই রাজ্য সরকার খড়গহস্ত হয়ে উঠেছিল রাজভবনের বিরুদ্ধে। তবে রাজ্যের ক্ষেপে যাওয়াতে যে রাজভবনের কিছু যায় আসে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতিই যে রাজভবনের কাছে প্রধান লক্ষ্য তা আবার মধ্যরাতের নির্দেশিকার মধ্যে দিয়ে 16 টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করে বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যপাল। অন্তত তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবকাল মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত রাজভবনের একাধিক নির্দেশে মোটেই খুশি নয় রাজ্য সরকার। রাজভবন যখন একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তখন রাজ্য সরকার ভাবছে, কি করে রাজভবনকে আইনগত দিক থেকে কাবু করা যায়। আর এই পরিস্থিতিতে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যের মোট 16 টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তি উপাচার্য মধ্যরাতেই নিয়োগ করে দিলেন রাজ্যপাল। যার ফলে হয়তো সকালে উঠেই চমকে যাবেন সরকার বাহাদুরের নেতা-নেত্রীরা। তবে দিনের শেষে দেখার বিষয়, এই ব্যাপারে সরকার কি পদক্ষেপ নেয় বা তাদের পক্ষ থেকে কি প্রতিক্রিয়া আসে! যার দিকে তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -