এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > আমপান তাণ্ডবে ছিন্নভিন্ন সুন্দরবন! চার মাস পরেও মেলেনি টাকা! আদিবাসী ‘বিদ্রোহে’ উত্তাল এলাকা

আমপান তাণ্ডবে ছিন্নভিন্ন সুন্দরবন! চার মাস পরেও মেলেনি টাকা! আদিবাসী ‘বিদ্রোহে’ উত্তাল এলাকা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রায় চার মাস আগে রাজ্যের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমপান ঝড়। যার দাপটে বিধ্বস্ত হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। উত্তর 24 পরগনা থেকে শুরু করে দক্ষিণ 24 পরগনা, মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন এলাকা এই ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে ভয়াবহ এই দুর্যোগের পরেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থনৈতিক সাহায্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও ব্যাপক অনিয়ম চোখে পড়তে শুরু করে। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নানা জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে সেই ভয়াবহ দুর্যোগের টাকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

যার ফলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু এই ভয়াবহ দুর্যোগের প্রায় চার মাস কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি অনেক মানুষ। যার ফলে এবার আদিবাসী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল বসিরহাট এলাকা। জানা যায়, বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাড়োয়া, মিনাখা ব্লকের এখনও পর্যন্ত অনেক ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের টাকা পাননি‌। অভিযোগ, বিডিওর কাছে তারা সাহায্য চাইতে গেলে তাদের ভয় দেখানোর পাশাপাশি মারধর করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই অভিযোগ তুলে ধরেই এদিন সুন্দরবনের আদিবাসী সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রতিবাদে নামা হয়। বসিরহাট টাউন হল থেকে ইছামতি ব্রিজ পর্যন্ত তীর-ধনুক নিয়ে মিছিল করেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। আর এরপরই পথ অবরোধ করে বসিরহাট মহকুমা শাসকের দপ্তরে সামনে ধর্নায় বসে পড়েন তারা। স্বভাবতই দীর্ঘদিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগ জানাতে গেলে যেভাবে তাদেরকে মারধর এবং হেনস্থা করা হয়েছে, তার প্রতিবাদেই এদিন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিক্ষোভে নামায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে প্রশাসন। একাংশের প্রশ্ন, সত্যিই তো তাই!

সেই কবে ভয়াবহ দুর্যোগ কেটে গেছে। তারপর সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা সাহায্য পাননি? আর সাহায্য পাওয়ার কথা তারা যদি প্রশাসনকে জানাতে যান, তাহলে কেন তাদের এভাবে হেনস্থা করা হবে? এদিন এই প্রসঙ্গে গোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে সুন্দরবন জনকল্যান সমিতির নেতা সুকুমার সর্দার বলেন, “প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা আমপানের টাকা পাচ্ছে না। এটা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। সাহায্য চাইতে গেলে মস্তান দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। তাই এর প্রতিবাদে আমরা বসিরহাট মহকুমা শাসক বিবেক ভস্মের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে এসেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত এর সমাধান না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ধরনা, বিক্ষোভ চলবে।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে এদিন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা সাহায্য না পেয়ে মহকুমা শাসকের দরজায় বসে পড়লেন, তাতে প্রশাসন অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়ল। কেন এত ঢিলেমি হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে! তা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। এখন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের এই বিক্ষোভের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য পৌঁছে দিতে কি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের‌।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!