পদ্মেই ভরসা সন্দেশখালির, দুধ-জল আলাদা করে দিলেন শুভেন্দু! বিজেপি রাজনীতি রাজ্য February 25, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়ার রিপোর্ট- সন্দেশখালিতে এতদিন কিভাবে মানুষকে কষ্টের মধ্যে রাখা হয়েছিল, কিভাবে মানুষকে যন্ত্রনা দেওয়া হয়েছিল, তা যদি শুভেন্দু অধিকারী সেখানে না যেতেন, তাহলে বোঝা যেত না। পুলিশের শত বাধা, শত চেষ্টাকে উপেক্ষা করে একেবারে আদালত থেকে নির্দেশ নিয়ে এসে শুভেন্দু অধিকারী সেই সন্দেশখালিতে কিছুদিন আগে গিয়েছিলেন। আর সেই একই দিনে সেখানে পা রেখেছিলেন সিপিএমের বড় নেত্রী বলে পরিচিত বৃন্দা কারাট। কিন্তু যতই তিনি বড় নেত্রী হন না কেন, সন্দেশখালি কিন্তু ভরসা করছে শুভেন্দু অধিকারীর ওপর। বলা ভালো বিজেপির ওপর। কারণ তারা মনে করছেন যে, তাদেরকে এই অত্যাচারের হাত থেকে বের করতে হলে বিকল্প হিসেবে যদি কেউ থাকে, তাহলে সেটা বিজেপি।আর তাদের ভরসার জায়গা শুভেন্দু অধিকারী। আর যদি এটা না হত, তাহলে শুভেন্দু অধিকারী যেদিন সেখানে গিয়েছিলেন, সেখানে তার সঙ্গে এত মানুষ থাকতেন না। তাকে মানুষ তাদের অত্যাচারের কথা জানাতেন না। বরঞ্চ তারা সকলেই বৃন্দা কারাটের মত নেত্রীর কাছে চলে যেতেন। কিন্তু সেটা দেখা যায়নি। বরঞ্চ শুভেন্দু অধিকারী জনস্রোতে মিশে যাচ্ছেন, তার কাছে এসে মহিলারা তাদের অভাব অভিযোগ জানাচ্ছেন, তৃণমূলের অত্যাচারের কথা জানাচ্ছেন, সেটা দেখে নীরব দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছে সিপিএমের সেই কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রীকে। স্বাভাবিকভাবেই একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, বাংলার মানুষ বিকল্প হিসেবে কিন্তু বেছে নিতে শুরু করেছে বিজেপিকে। তারা ভরসা করছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। সন্দেশখালির ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই একদিকে যেমন তৃণমূল সরকারের মুখোশ খুলে দিয়েছে, ঠিক তেমনই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কারা লড়তে পারে, কারা বাংলার পরবর্তী ক্ষমতা দখল করে সুশাসন দিতে পারে, সেটাও চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর সেই কথাই তুলে ধরে এদিন সকলের সামনে দুধ এবং জল আলাদা করে দিলেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।প্রসঙ্গত, এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বিজেপি ছাড়া সকলকেই আপন বলে মনে করেন। কারণ বিজেপি তার চোখে চোখ রেখে লড়াই করছে বলেই তিনি সহ্য করতে পারছেন না। অন্যদিকে সিপিএম, কংগ্রেস তার বন্ধু দল হিসেবেই পরিচিত। যে সিপিএমের সঙ্গে 34 বছর ধরে তিনি লড়াই করেছেন, এখন এই সিপিএমকে মাইলেজ দেওয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী। যাই হোক, সেটা তারা কি করবেন, ইন্ডি জোটের কতটা পিন্ডি চটকানো যাবে, সেটা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু এত কিছু করেও বৃন্দা কারাটকে সেখানে প্রবেশ করতে দিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর জনপ্রিয়তাকে আটকাতে পারেননি। বরঞ্চ শুভেন্দু অধিকারী সেই সন্দেশখালিতে গিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, তার জনপ্রিয়তা এই শাসকের থেকে কতটা বেশি। সেখানে বৃন্দা কারাট তো নগণ্য মাত্র। তাই এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আরও একবার জানিয়ে দিলেন, সন্দেশখালির মানুষ ভরসা করছে নরেন্দ্র মোদীর ওপর, ভরসা করছে সেই নরেন্দ্র মোদীর সৈনিকদের ওপর। আর সেই কারণেই মহিলারা এবং সন্দেশখালি মানুষরা তার সঙ্গে রয়েছেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, খুব ভালো হয়েছে, যেদিন শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন, সেদিন বৃন্দা কারাটও নন্দীগ্রামে গিয়েছেন। এর ফলে রাজ্য রাজনীতিতে একটা চিত্র পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, কার সঙ্গে মানুষ রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে গোটা সন্দেশখালি ছিল। আর বৃন্দা কারাটের সঙ্গে ছিল তার দলের গুটি কয়েক নেতা নেত্রী। স্বভাবতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যে একমাত্র বিজেপি এবং তাদের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী লড়াই করতে জানেন, এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার করে দিয়েছেন সন্দেশখালির জনতা জনার্দন। তারা তৃণমূলকে সরানোর জন্য যে ভরসা করছেন ভারতীয় জনতা পার্টিকেই, আর এভাবেই যে পদ্মময় হয়ে উঠছে সন্দেশখালি, সেটা যত সময় যাচ্ছে ততই প্রকট হয়ে উঠছে। তাই সেটিং করে বাম, কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়েও সন্দেশখালি ইস্যুকে ধামাচাপা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর জনপ্রিয়তাকে আটকাতে পারবেন না এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সন্দেশখালির মানুষের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যে জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছে, তা গোটা রাজ্যে যেখানেই যান না কেন, সেখানেই দেখতে পাবেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। তাই আগামী দিন রাজ্যে পদ্ম ফোটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -