এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > শাসকদলের মন পেতে বেছে-বেছে বিরোধীদের গ্রেপ্তার, বিস্ফোরক অভিযোগ বীরভূমে

শাসকদলের মন পেতে বেছে-বেছে বিরোধীদের গ্রেপ্তার, বিস্ফোরক অভিযোগ বীরভূমে

পঞ্চায়েত মনোনয়নকে কেন্দ্র করে গত ৭ই এপ্রিল উত্যক্ত হয়েছিলো বীরভূমের মহম্মদবাজার এলাকা।পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা নাকি শাসকদলের মন পেতে বিরোধীদের ধরে ধরে গ্রেফতার করছিলো।রাজনৈতিক সূত্রে খবর পাওয়া গেছে সেদিন বিজেপি সহ বিরোধীরা দশ হাজারেরও বেশি লোক নিয়ে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলো।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

তখন টিএমসির সমর্থকরা মহম্মদবাজার ব্লক ঘিরে রাখে ফলে বিরোধীদের সাথে তাঁদের বোমাবাজি ও গুলির লড়াই শুরু হয়।বিরোধীরা সংখ্যায় বেশি থাকায় পিছু হটতে বাধ্য হয় শাসকদল।তবে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের দাবী বিজেপি প্রতিবেশি রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকে দুষ্কৃতি নিয়ে মহম্মদবাজার ব্লক দখল করেছে।জেলা পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার দায়িত্ব নিয়ে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে সহায়তা করেন।তিনি তৃণমূলের সাথে বিরোধীদের সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে ১০,০৫৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।এঁদের ভিতর ৩৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ যাদের বেশিরভাগই ছিল বিজেপি প্রার্থী ও সমর্থক।
তবে বিরোধীদের বক্তব্য, মহম্মদবাজারের বিরোধী দল থেকে ২১ টি পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী ও পঞ্চায়েতের ৯০ টি আসনের পার্থীরা এলাকা ছাড়া। এর নিরিখে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে যে জেলা পুলিশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে সুস্থ ভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করছেন না।যদিও জেলা পুলিশকর্তাদের দাবী তাঁরা প্রতিটি অভিযোগের ১০০% পদক্ষেপ নিয়েছেন। অন্যদিকে শাসকদল বলছে যে প্রশাসন তাঁর মতো পদক্ষেপ নিচ্ছে যেটা করলে সুষ্ঠভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা বলেন, শাসক দলের হয়ে পুলিশ এবার আমাদের প্রার্থী থেকে সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি হুমকি দিচ্ছে। শাসকদলের মন পেতেই এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে উর্দিধারী তৃণমূল কর্মীরা। তাই সন্ত্রাস রুখতে কর্মী-সমর্থকদের একজোটে থাকতে বলা হয়েছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, প্রথমে দুষ্কৃতী, পরে পুলিশ দিয়ে বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। আমরা প্রার্থীদের তাই নিরাপদে রেখে এসেছি। কারণ পুলিশ বেছে বেছে কর্মী ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করছে। তাঁর দাবি, জেলবন্দি করেও মহম্মদবাজারে কর্মীদের আটকানো যাবে না। ভোটপর্বের শেষে আমরা প্রার্থীদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেব।
কিন্তু তৃণমূলের দাবি, বহিরাগত সশস্ত্র মাওবাদীরা এসে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে। প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচন করানোর দায়িত্ব পালন করছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!