এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পরেও আন্দোলনের পথেই স্কুল শিক্ষকরা

শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পরেও আন্দোলনের পথেই স্কুল শিক্ষকরা

অল্প কদিন আগেই শিক্ষকদের জন্যে রাজ্য সরকার এক নতুন খসড়া বিধি প্রস্তুত করেছে। সেখানে বিদ্যালয় শিক্ষকদের কয়েকটি অধিকার খর্ব করার কথা প্রস্তাবিত হয়েছে। যেমন শিক্ষকদের সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করার কথা বলা হয়েছে, এমনকি সুবিচার পাওয়ার আশায় আদালতে যাওয়ার অধিকারও  কেড়ে নেওয়া হয়েছে।এই ধরনের একাধিক শিক্ষক ‘বিরোধী’ নিয়মাবলী সম্বলিত নতুন খসড়া বিধির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে শিক্ষকমহল। এই প্রসঙ্গে প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হয়েছে আবুটা, জুটা সহ শিক্ষকদের আটটি সংগঠন। এই খসড়া বিধি প্রকাশ্যে আসার পরেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন এই খসড়া বিধি প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে আসা তথ্যের কোনো বাস্তব সত্যতা নেই। কিছু সরকার বিরোধী সমালোচক মানুষ কিছু লেখা হলেই সেটা জোগাড় করে সেটা অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এছাড়াও  দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তিনি বলছেন, “নিয়মাবলী নিশ্চয়ই তৈরি হবে। কিন্তু, তার প্রয়োগ কীভাবে হবে তা সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই হবে।” একটা খসড়া তৈরী করা হয়েছিলো কিন্তু তিনি তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। আর বলেছিলেন যে,” এই ভাবে খসড়া তৈরি করা যাবে না। গায়ের জোরে নিয়ম পালন করা যাবে না।” শিক্ষামন্ত্রীর এমন বক্তব্য সত্ত্বেও বিক্ষোভের কর্মসূচি জারি রেখেছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। একইসাথে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী, আধিকারিকদের সংগঠনগুলিও এই খসড়ার তীব্র বিরোধিতা করছে। বুধবারও পশ্চিমবঙ্গের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ওয়েবকুটা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।আগামী ২৬ এপ্রিল দু’ ঘন্টার অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। শিক্ষামন্ত্রী বক্তব্যের পরেও বিক্ষোভ কর্মসূচী জারী রাখার প্রসঙ্গে ওয়েবকুটার সভাপতি শুভদয় দাশগুপ্ত বললেন, ”এর আগেও যখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৭-র প্রথম বিল প্রস্তাবিত হয়েছিল তখনও সেই বিলের বিরোধিতা করা হয়েছিল। সেই বিরোধিতার জেরে বিলটি প্রত্যাহার করে নিয়েছিল সরকার। তখনও বলা হয়েছিল, জোর করে কোনও কিছু চাপানো হবে না। কিন্তু, তার পর বিলটিকে প্রায় অপরিবর্তিত রেখে বিরোধীশূন্য বিধানসভায় তা পাশ করিয়ে আইনে পরিণত করা হয়।আগে বলার পরেও যেভাবে বিল পাশ করিয়ে আইনে পরিণত করা হয়েছে, তার পরে কী নিশ্চয়তা রয়েছে যে এই খসড়াটিও আচরণবিধিতে পরিণত হবে না? তাই আমরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাব। যাতে এই খসড়াটি কোনও ভাবেই ফলপ্রসূ না হতে পারে।” একই কথা জানিয়ে আবুটার সভাপতি তরুণকান্তি নস্কর বললেন, ”ওগুলো কথার কথা। সামনে যেহেতু ইলেকশন, তাই এই সব কথাবার্তা নিজেদের বাঁচানোর জন্য বলা হচ্ছে।নিয়ম যেটা তৈরি করেছে সেটা সত্যি। যে কমিটি তৈরি করেছে আমরা তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করেছি। ওটা খসড়া নয়, ওটাই চূড়ান্ত।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!