পার্থ, অরূপ নাকি অন্য কেউ? শোভনের জায়গায় মেয়র পদে একাধিক নামে জল্পনা বিশেষ খবর রাজ্য May 27, 2018 রাজ্যের গুরুত্ত্বপূর্ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জীবনের বেশ কিছু যেভাবে প্রকাশ্যে এসে পড়ছে এবং তা রাজ্যবাসীর কাছে চর্চার বিষয় হয়ে উঠছে তাতে বেশ বিব্রত রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে খুব শীঘ্রই পদ হারাতে পারেন তিনি বলে তুমুল জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, শোভনবাবুর ব্যক্তিগত জীবন যেভাবে বারবার প্রকাশ্যে এসেছে তাতে অত্যন্ত বিরক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ত্ব। এই মুহূর্তে দলে অত্যন্ত গুরুত্ত্ব পাওয়া এক যুবনেতা নাকি একদমই চান না শোভনবাবু মন্ত্রীত্ত্বে থাকুন। ফলে তাঁর ক্ষমতা খর্ব করার পদ্ধতি নাকি ভেতরে ভেতরে শুরু হয়ে গেছে। এতদিন পঞ্চায়েত নির্বাচন চলছিল – তখন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ভুল বার্তা যেত। অন্যদিকে পঞ্চায়েত মিটতেই মহেশতলা উপনির্বাচন – যেখানে প্রার্থী শোভনবাবুর শ্বশুরমশাই দুলাল দাস। আর তাই এতদিন সব চুপচাপ ছিল, কিন্তু মহেশতলা উপনির্বাচন মিতে গেলেই নাকি পদ হারাতে চলেছেন শোভনবাবু। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে দক্ষিন ২৪ পরগনার জেলা সভাপতির পদ যাচ্ছে তাঁর বলেই সূত্রের খবর। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশীষ চক্রবর্তী। অন্যদিকে এই মুহূর্তেই মন্ত্রীত্ত্ব সম্পূর্ণরূপে যাচ্ছে না বলেই খবর। তবে শোভনবাবুর হাতে থাকা তিনটি দপ্তরের দুটিই কেড়ে নেওয়া হতে পারে। তবে সবথেকে জমজমাট পরিস্থিতি কলকাতার মেয়র পদ নিয়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ খবর, মেয়র পদ হারাতেই হচ্ছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য ভেসে উঠছে একাধিক নাম। তার মধ্যে সবার আগে আছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলীয় সমীকরণে তাঁর অবস্থান নাকি সবার আগে। তবে দলের অন্য একটি মহল চাইছে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে এই পদে বসাতে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির জন্য তিনি এগিয়ে থাকলেও, এই মুহূর্তে সংগঠন সামলাতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁকে যেতে হচ্ছে, যা কিছুটা হলেও তাঁকে পিছিয়ে রাখছে। অন্যদিকে নাম উঠছে দলের আরেক হেভিওয়েট মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের। মন্ত্রীত্ত্ব সামলানোর পাশাপাশি যেভাবে তিনি দলীয় সংগঠন সামলাচ্ছেন তাতে নাকি অত্যন্ত খুশি দলনেত্রী। তবে, যা শোনা যাচ্ছে কলকাতার মেয়র নয় দলনেত্রী তাঁকে শোভনবাবুর কাছ থেকে নেওয়া দুটি দপ্তরের অতিতিক্ত দায়িত্ত্ব দিতে পারেন। এই অবস্থায় দুই মেয়র পারিষদ ও দলের দীর্ঘদিনের সৈনিক অতীন ঘোষ ও দেবাশীষ কুমারের নামও ভেসে উঠছে। সবমিলিয়ে জমজমাট মেয়র পদের লড়াই, তবে দায়িত্ত্ব শেষপর্যন্ত কে পাবেন সেই সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রীই। আপনার মতামত জানান -