জোড়া-হত্যায় সিবিআই তদন্তের বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার জাতীয় June 24, 2018 গতবছর ৩০ দিনের মাথায় পর পর দুজন সাংবাদিক খুনের জেরে সরগরম হয়েছিল ত্রিপুরার রাজনীতি। একজন ছিলেন শান্তনু ভৌমিক। আগরতলা থেকে ২৫ কিমি দূরে মান্দোয়াই উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে কোপের মুখে পড়তে হয় তাঁকে । পরিণামে পিটিয়ে হত্যা হয় তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছিলো ২০ সেপ্টেম্বর। এর একমাস যেতে না যেতেই ২১ নভেম্বরে সাংবাদিক সুদীপ দত্ত ভৌমিককে আগরতলার ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের সদর দফতরের সামনে এক জওয়ানে গুলি করে হত্যা করে। জানা গেছে,সুদীপ একটি কাগজের অফিস ছাড়াও নিউজ ভ্যানগার্ড নামের একটি চ্যানেলেও কাজ করতেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ত্রিপুরায় বামেরা ক্ষমতায় থাকাকালীন এই সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সেইসময় তাঁরা তদন্তের সীট গঠন করার ফলে বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছিলো প্রশাসন। তবে ফোরাম ফর প্রোটেকশন অফ জার্নালিস্ট (৯ টি সংবাদমাধ্যমের মিলিত সংগঠন) এবং ত্রিপুরার পক্ষ থেকে সেই তদন্তের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের দাবী করা হয়েছিলো বিজেপি তরফের বিপ্লব দেব ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেই বিষয়টির উপর ফের গুরুত্ব দিলেন। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে নির্দেশ দিলেন ত্রিপুরা গোয়েন্দা বিভাগকে অবিলম্বে সাংবাদিক খুনের তদন্ত শুরু করতে। ইতিমধ্যেই সরকারিভাবে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়ে গেছে। সেখানে উল্লেখ আছে যে ঘটনার প্রচেষ্টা,অভিযান,ষড়যন্ত্র সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু করবে সিবিআই। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিধানসভা ভোটের আগেও বিজেপি তরফ থেকে প্রচারে বেরিয়ে বলা হয়েছিলো যে সাংবাদিক খুন রহস্যের জট খুলবে পদ্মশিবির ক্ষমতায় এলে। এরপর ত্রিপুরার ক্ষমতা বিজেপির হাতে এলে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেও এই দুটি সাংবাদিক হত্যাকান্ডের সিবিআই তদন্তের প্রস্তাব রাখা হয়েছিলো। আপতত ত্রিপুরার আমজনতার নজর রয়েছে প্রশাসনের দিকে। লোকসভা ভোটের আগে এই হত্যাকান্ডের কিনারা যদি বিজেপি সরকার করতে পারে তাহলে জনসাধারণের মনে পদ্মফুলের বিস্তার ঘটবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের একাংশ। আপনার মতামত জানান -