খোদ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ,রণক্ষেত্র স্কুল চত্বর মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য September 30, 2018 প্রায় দিন দেশের কোনো না কোনো প্রান্ত থেকে মেয়েদের শ্লীলতাহানির খবর নজর কাড়ে আমজনতার। নারীসুরক্ষার বিষয়টিকে প্রশাসনের নজরে আনতে মোমাবাতি মিছিল,প্রতিবাদ,বিক্ষোভ কম হয় না এ দেশে। অপরাধীদের জন্য শাস্তিব্যবস্থা কড়া করেও কিছুতেই এ অপরাধের লাগাম টানা যাচ্ছে না। ৫ বছরের শিশু থেকে শুরু করে বিগতযৌবনা নারীও শিকার হয়েছে এই লজ্জাজনক অপরাধের। এমনকি বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতা,পুলিশ এমনকি উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মচারীদের নামও জড়িয়েছে এই ন্যাক্কারজনক অপরাধের সঙ্গে। প্রতিবাদ,বিক্ষোভ জানিয়ে কিছুদিন রাজনৈতিক ক্ষেত্র উত্তপ্ত থাকার পর আবার রোজনামচায় ফিরেছে মানুষ। তবে এবারে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে যার নামে তা শুনলে গা শিউড়ে উঠবে আপনারও। শাস্ত্রে বলা আছে শিক্ষকের স্থান পিতা মাতারও উপরে। সেই শিক্ষক যদি কোনো ছাত্রীর শ্লীলতাহানির কারণ হয় তাহলে ব্যাপারটা কেমন দাঁড়ায়? হ্যাঁ এমনটাই অভিযোগ উঠেছে বীরভূমের নলহাটির বানিওড় একে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করেছেন তিনি। খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষেপে আগুন স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। বিক্ষুব্ধরা প্রধান শিক্ষকের অফিসে ঢুকেই মারধোর করে তাকে। তারপর আটক করে রাখা হয়। তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে স্কুল চত্বরে। পরিস্থিতির সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসতে হয় পুলিশকে। বিক্ষুব্ধদের কবল থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে বীরভূমের নলহাটির বানিওড় গ্রামে এ কে হাই স্কুলে মেয়েদের পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পঠনপাঠন চলে। খাতায় কলমে হিসাব না থাকলেও ছাত্রীসংখ্যা নেহাত কম নেই স্কুলে। তবে অবাক করার মতো বিষয় হল,মেয়ের স্কুল হওয়া সত্ত্বেও স্কুলের প্রধান শিক্ষক একজন পুরুষ। আশিস কুমার মন্ডলই এই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত। জীববিজ্ঞানের শিক্ষক তিনি। ছাত্রীদের নিয়মিত ক্লাসও নেন তিনি। তবে ছাত্রীদের অভিযোগ,নানান ছুতোয় পড়াতে পড়াতেই ছাত্রীদের গায়ে হাত দেন এই শিক্ষক। কয়েকদিন আগে ক্লাস চলাকালীন সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন ইনি,এমনটাই অভিযোগ করে অন্যান্য ছাত্রীরা। মুখ বুঝে অন্যায় সহ্য না করে এই ছাত্রী বাড়িতে শ্লীলতাহানির সমস্ত ঘটনাই জানিয়ে দেয়। এরপরই শোরগোল পড়ে যায়। আগুনে বাতাস লাগার মতো ঘটনা ছড়িয়ে যায় স্কুল চত্বরে। তারপরই এদিন বিক্ষুব্ধদের কোপের শিকার হন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকটি। তাকে তাঁর রুমে আটকে তো রাখা হয়ই,পাশাপাশি অফিস রুমের দরজা-জানলা ভাঙা হয়। ভাঙচুর করা হয় স্কুলের কম্পিউটার,আসবাসপত্রও। পরিস্থিতি এতোটা উত্তপ্ত হয়ে যায় যে নিয়ন্ত্রনে আনতে ঘটনাস্থলে পৌছাতে হয় রামপুরহাটের এসডিপিও অভিষেক রায়কে। পড়ুয়া-অভিভাবকদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসতে হয় পুলিশকে। শেষঅব্দি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এদিকে,ছাত্রীদের প্রতি একজন শিক্ষকের এহেন লজ্জাজনক আচরণের কথা শুনে আশিস বাবুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন নলহাটি বানিওড় একে হাইস্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাঁদের অভিযোগ,জীবন বিজ্ঞানের ক্লাসে মেয়েদের জনন এবং হরমোনের চ্যাপ্টার ছাড়া আর কিছুই পড়াতেন না আশিস কুমার মন্ডল। এই বিষয় পড়াতে পড়াতেই নানান অজুহাতে ছাত্রীদের গায়ে হাত দিতেন তিনি। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক অশোক রায়। তবে এ অভিযোগ মিথ্যে বলেই দাবীতে জানিয়েছেন অভিযুক্ত নলহাটির স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস কুমার মন্ডল। আপনার মতামত জানান -