মন-কষাকষির জেরেই কি বাম-কংগ্রেসের জেতা আসন ‘উপহার’ হতে চলেছে তৃণমূল বা বিজেপির? জল্পনা চরমে উত্তরবঙ্গ রাজ্য February 25, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের মুখে যখন ক্রমশ দানা বাঁধার দিকে এগোচ্ছে বামফ্রন্ট কংগ্রেস জোট – তখন জোটের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আসনে তৈরী হয়েছে চতুর্মুখী লড়াইয়ের তীব্র সম্ভাবনা। এমনকি সেই মন কষাকষির জেরে নাকি ভেস্তে যেতে পারে সমগ্র জোট প্রক্রিয়াও বলে তীব্র গুঞ্জন ছড়িয়েছে। কথা হচ্ছে রায়গঞ্জ আসনটিকে ঘিরে – গতবারে মাস্টারস্ট্রোক দিয়ে কলকাতা উত্তর থেকে সোজা উত্তরবঙ্গে কংগ্রেসের ‘গড়’ বলে পরিচিত এই আসনে পারি দিয়েছিলেন সিপিএমের মহম্মদ সেলিম। কেননা, এই আসনে কার্যত গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির নামে এই আসনে কার্যত জেতা হারার ফয়সালা হয়। আর তাই, প্রিয়বাবুর ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রার্থী হন তাঁরই পত্নী দীপা দাশমুন্সি। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সেখানে প্রার্থী করে দেন প্রিয়বাবুর ভাই সত্যরঞ্জন দাশমুন্সিকে। ২০১৪ তে সেভাবে রায়গঞ্জে সংগঠন গড়ে ওঠে নি তৃণমূলের – গণনার দিন দেখা যায়, দাশমুন্সি পরিবারের তথা কংগ্রেসের ভোটেই কার্যত ভাগ বসিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। আর সেই ভোট কাটাকাটির অঙ্কে বাজিমাত করে বেরিয়ে গেছেন নিখুঁত অঙ্ক কষে খেলতে নাম মহম্মদ সেলিম। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ২০১৯-এর জোটের প্রাথমিক শর্ত হিসাবে মনে করা হচ্ছিল বামফ্রন্ট বা কংগ্রেস কেউই কারোর গতবারের জেতা আসনে হাত দেবে না। আর সেই হিসাবে রায়গঞ্জ আসনটি মহম্মদ সেলিমকে ছেড়ে দিয়ে দীপা দাশমুন্সি হয়ত মালদা উত্তরে দাঁড়াবেন। কেননা জোটধর্ম মেনে বামফ্রন্ট মালদা উত্তর আসনটি কংগ্রেসকেই দিতে চায়, যদিও মৌসম নূর দলবদল করে আপাতত তৃণমূলে। কিন্তু, মালদা উত্তরে আবু হাসেম খান চোধুরী চান পুত্র ঈশা খান দাঁড়ান – অন্যদিকে মৌসম নূর এখন থেকেই ভরপুর প্রচারে। বিজেপিও রীতিমত তাল ঠুকছে এই আসনে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মালদা উত্তর নিয়ে খুব একটা উৎসাহী নন দীপা দাশমুন্সির অনুগামীরা। উল্টে তাদের বক্তব্য, রায়গঞ্জ বরাবরই দাশমুন্সি পরিবারের ‘ভদ্রাসন’ – তার উপর দীর্ঘ রোগ ভোগের পর সদ্য প্রয়াত হয়েছেন প্রিয়বাবু – আর তাই, রায়গঞ্জের মানুষ প্রিয়বাবুর উত্তরসুরিকেই এই আসন থেকে লোকসভায় পাঠাতে বেশি আগ্রহী হবেন। এই আসন বামফ্রন্টকে ছাড়া মানে – কংগ্রেসের ভোট হয় বিজেপি না হয় তৃণমূলে চলে যাবে। এদিকে পাঁচবছরে এই আসনে সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী করে ফেলছে তৃণমূল, ২০১৪ সালেই সংগঠন ছাড়া শুধু আবেগ দিয়েই যথেষ্ট ভোট পেয়ে বিজেপি হয়েছিল তৃতীয়। আর তাই, কংগ্রেস-বামফ্রন্টের মন কষাকষিতে এই আসন না শেষপর্যন্ত তৃণমূল বা বিজেপির হাতে চলে যায় – এই আশঙ্কাতেই এখন দিন কাটাচ্ছেন দুই শিবিরের নীচুতলার কর্মীরা। আপনার মতামত জানান -