মমতা বন্দোপাধ্যায় কংগ্রেসের সঙ্গে গদ্দারি ও বেমাইনি করছেন দাবি অধীরের জাতীয় রাজ্য February 28, 2019 সম্প্রতি রাজ্যবিজেপির হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘গদ্দার’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। মুকুলের সেই সম্বোধনকেই এদিন শীলমোহর দিয়ে দিলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এদিন কর্মসূত্রে বারাসাতে এসে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের সঙ্গে গদ্দারি এবং বেইমানি করেছেন। তাঁর দাবী,কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় রাজনৈতিক জীবনে লড়াই শুরু করেছিলেন মমতা। রাজীব গান্ধীর সৌজন্যেই রাজনীতির অঙনে মাটি শক্ত করতে পেরেছেন তিনি। কংগ্রেসের সমর্থনে তৃণমূল দল গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। কংগ্রেসই তাকে মন্ত্রী বানিয়েছে। আর এখন প্রয়োজন ফুরাতেই কংগ্রেসকেই উল্টে আঘাত করেন তিনি। এসব বলার পাশাপাশি তিনি আরো জানান,মুখ্যমন্ত্রী আসলে কংগ্রেসের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন। বারবার ভিন্ন ভিন্ন দলের হাত ধরার চেষ্টা করেছেন। এদিন অধীর চৌধুরীর বক্তব্যে এটাই স্পষ্ট যে তিনি মুকুল রায়ের কথাকেই সমর্থন করলেন৷ এর পাশাপাশি পুলওয়ামা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে বক্তব্যে তিনি জানান,বায়ুসেনার এই কৃতিত্ব দেশবাসী গর্বিত। তিনি একইসঙ্গে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। এবং এটাও জানান,পাকিস্তান কোনোদিনই ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করে জিততে পারেনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিরোধীরা আবার এই এয়ারস্ট্রাইককে লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনৈতিক ফায়দা লোটার পরিকল্পনা বলেও মন্তব্য করেছে। তবে এভাবে ভাবতে নারাজ তিনি। বরং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে ব্যক্ত করে বলেন,”মমতার কাছে বিজেপি দুরকম। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভালো বিজেপি রাজনাথ, অরুণ জেটলি আর খারাপ বিজেপি হলেন নরেন্দ্র মোদী।” অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিচারী মানসিকতাকেই কটাক্ষ করলেন তিনি। উল্লেখ্য,এদিন বারাসাত বিশেষ আদালতে অধীর বাবুর নয়টি মামলার দুটি মামলার নিষ্পত্তি হয়। বারাসাত বিশেষ আদালতের পরিকাঠামোর কড়া সমালোচনা করে বলেন,’রাজ্য সরকার একটা ভালো বিশেষ আদালতও করে উঠতে পারেনি। অথচ বিধায়ক ও সাংসদরা এখানে আসেন। খালি নীল সাদা রঙ করে দিলেই হল?” পাশাপাশি তৃণমূল বিরোধী সুর চড়া করে বলেন,লোকসভায় তৃণমূলকে চোর বলা তাঁর কর্তব্য ছিল। চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারির সূত্র ধরে বলেন,সাধারণ মানুষের টাকা এভাবে লুট হলে তিনি সরব হবেনই। এবং তৃণমূলকে ‘চোর’ বলে যে তিনি সঠিক কাজ করেছেন সেটাই প্রকাশ্যে বোঝাতে চাইলেন এদিন। তবে লোকসভা ভোটে সিপিএমের সঙ্গে জোট নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইলেন না। তবে মৌসম নূর দলত্যাগ করায় দলের সংগঠন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলেই জোরালো দাবী করলেন কংগ্রেসের এই দাপুটে নেতা। আপনার মতামত জানান -