এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুভেন্দু ইস্যুতে শেষপর্যন্ত বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন মমতা? জানিয়ে দিলেন দলীয় স্তরে?

শুভেন্দু ইস্যুতে শেষপর্যন্ত বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন মমতা? জানিয়ে দিলেন দলীয় স্তরে?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের শিবিরের দূরত্ব বাড়তে বাড়তে আজ এসে দাঁড়িয়েছে কয়েক যোজন দূরত্বে। বেশ কিছুদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূল শিবিরের বাইরে গিয়ে বিভিন্ন অরাজনৈতিক সভায় যোগদান করতে তাঁকে দেখা যাচ্ছিল রাজনৈতিক মহলে। তখন থেকেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল শুভেন্দুর ক্ষোভের কথা। কিন্তু তৃণমূল তাঁদের দক্ষ সেনাপতি শুভেন্দুকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এসে ছাড়তে রাজি নয়। আর তার জন্যই আসরে নেমেছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হওয়ার পর শুভেন্দুর তৃণমূলে থাকার ব্যাপারে ইতিবাচক কথা বলতে শুরু করেন সৌগত রায়।

কিন্তু 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ভোলবদল শুভেন্দুর। পরিষ্কার জানিয়ে দেন তিনি দলের সঙ্গে চলা আর তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা। আর এবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুকে ছাড়াই চলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। জানা যাচ্ছে, তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু চ্যাপ্টার এবার ক্লোজড। বুধবার রাতে দলের অন্দরে সেরকমই বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী বলে জানা যাচ্ছে। শুভেন্দুর হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের পর তাঁর সাথে আর কোনরকম আলোচনা চালানো হবে না বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন নেত্রী। তবে তৃণমূলের নেতাদের একাংশ অবশ্য এখনও শুভেন্দুর ফিরে আসার আশা কোনোভাবেই ছাড়তে চাইছেননা।

কিন্তু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যাচ্ছে, তিনি দলের প্রথম সারির সাংসদকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল শুভেন্দুকে ছাড়াই লড়বে। এই বিষয়ে আর কোনো রকম আলোচনা হবে না। এই কঠিন সময়ে নিজেদের জোরে জিতেই তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরবে বলে দিদি আশ্বাস দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তৃণমূলের হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়। পরবর্তীতে এই আলোচনা চালাতে সৌগত রায়কে সঙ্গ দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাতে জানা যায়, একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, সৌগত রায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই বৈঠকের পর সৌগত রায় দাবি করেছিলেন, সমস্যা মিটে গিয়েছে। শুভেন্দু তৃণমূলেই থাকছে। কিন্তু বুধবার নাটকীয় পরিবর্তন। শুভেন্দু অধিকারী সৌগত রায়কে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠিয়ে জানিয়ে দেন, তাঁর ওপর একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সে কারণেই তিনি একসঙ্গে আর থাকতে পারবেন না দলে। এর আগে ঠিক ছিল শুভেন্দু অধিকারী 8 তারিখ সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করবেন। কিন্তু তার আগেই সৌগত রায় প্রকাশ্যে সব বলে দেওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু বলে জানা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এটুকু বোঝা যাচ্ছে, আপাতত শুভেন্দু অধিকারী এবং তৃণমূল শিবিরের মধ্যে বড়সড় ফাটল ধরেছে, যার ফলস্বরূপ বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়লেও ভবিষ্যতে তিনি কী করবেন, তা নিয়ে এখনও একটি শব্দ খরচ করেননি তিনি। তাই রবিবার শুভেন্দু অধিকারীর সাংবাদিক বৈঠকের দিকেই এখন কড়া নজর রেখেছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর কাছ থেকে বার্তা পাওয়ার পর সৌগত রায় তা দলের কাছে তুলে ধরেন। তবে জানা যাচ্ছে সৌগত রায় যে বার্তা বৈঠকের পর জানিয়েছিলেন, তাতে কিন্তু শুভেন্দু নিজেই সম্মতি দিয়েছিলেন। প্রকাশ্যে এদিন সৌগত রায় জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনার আর কোন সম্ভাবনা নেই। এবং দল থেকে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা হবেনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন সৌগত রায়।

এবং শুভেন্দু অধিকারীর যেহেতু সাংবাদিক বৈঠক করার কথা তাই সৌগত রায় দল ছাড়ার বিষয়টিও শুভেন্দু অধিকারীর সাংবাদিক বৈঠকের উপরেই ছেড়েছেন। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিজের রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে কোনরকম ইঙ্গিত দেননি। বৃহস্পতিবার তমলুক এবং গরবেতার দুটি কর্মসূচি ছিল, যেখানে তিনি কোনো রকম রাজনৈতিক কথা বলেননি। তবে শুভেন্দু অনুগামীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার রাতের আলোচনায় শুভেন্দু অধিকারী কে না জানিয়ে বৈঠকে উপস্থিত করা হয়েছিল অভিষেক এবং প্রশান্তকে। গত শনিবার অভিষেক এবং পিকের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বৈঠকে বসতে নিমরাজি হয়েছিলেন।

কিন্তু রবিবার তাঁকে জনসভা থেকে অভিষেক যেভাবে আক্রমণ করেন, তাতে কিন্তু শুভেন্দু বেঁকে বসেন। এদিকে ততদিনে মঙ্গলবার এর বৈঠকও ঠিক হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, শুভেন্দুর সাথে ওই বৈঠকে অভিষেক এবং পিকে থাকবেন না বলেই জানানো হয়েছিল প্রথমে। এবং তারপরেই কলকাতায় আসতে রাজি হন শুভেন্দু। তবে মঙ্গলবার বৈঠক সম্পর্কে সৌগত রায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যথেষ্ট সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এই বৈঠক হয়েছে। এরপরেও যদি শুভেন্দু তাঁর অবস্থান বদল করে থাকেন, তাহলে সম্পূর্ণ সেটা তাঁর ব্যাপার বলে জানিয়েছেন সৌগত রায়। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী যে দল ছাড়ছেন তা তাঁর ভাবভঙ্গীতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর মতন দলীয় কর্মী যিনি দক্ষ সাংগঠনিক হিসেবে ছিলেন তৃণমূলে, তিনি দল ছাড়লে অবধারিতভাবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনী লড়াই যে আরো কঠিন হয়ে যাবে তৃণমূলের কাছে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তৃণমূল প্রথম থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা চালিয়ে গিয়েছে। সে জায়গায় শুভেন্দু অধিকারী সৌগত রায়ের মত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে যেভাবে প্রেস্টিজে ফেলেছেন, তাতেই তৃণমূল এবার আর কোনো আপস করতে রাজি নয় বলে মনে হচ্ছে। আর তাই তৃণমূল নেত্রী শুভেন্দুকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!