বৈঠকে অনুপস্থিত দুই হেভিওয়েট নেতা,সমেত হারা-জেতা প্রার্থীও, জল্পনা তুঙ্গে কলকাতা রাজ্য May 26, 2019 এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে অগ্নিপরীক্ষার সমতুল্য ছিল। কেননা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে সরানোর লক্ষ্যে বাংলা থেকে 42 টি আসনের মধ্যে যাতে 42 টি আসনই দখল করা যায়, তার জন্য নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জায়গায় জনসভা করে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গননা বাক্স খোলা হলে দেখা যায়, তৃণমূল গতবার লোকসভা নির্বাচনে 34 টা আসন পেয়েলেও সেখান থেকেও কমে তাদের এবারের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় 22 টিতে। অন্যদিকে বিজেপি গতবার দুটি আসন পেলেও এবার তারা বাংলা থেকে 18 টি আসন দখল করে। যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় তৃণমূল নেতৃত্বকে। গোটা উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি সাতটি লোকসভা কেন্দ্রই তাদের দখলে রাখে। অন্যদিকে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্র নিজেদের দখলে রাখলেও খোদ নিজের ওয়ার্ডেই দলকে এগিয়ে রাখতে পারেননি। তবে এবার বাংলায় কেন তৃণমূলের এই ফলাফল হল, তা নিয়ে যখন শনিবার তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটের বাসভবনে রাজ্যের প্রতিটি জেলার দলীয় নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন, ঠিক তখনই সেখান অনুপস্থিত দেখা গেল কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে শুধু দুই জেলার দুই দলীয় নেতৃত্বই নয়, এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় আসানসোলের তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী মুনমুন সেন এবং ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেবকেও। যা নিয়ে এখন রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চাঞ্চল্য। অনেকেই বলছেন, অনুব্রত মণ্ডল এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এই বৈঠকে অনুপস্থিতের পেছনে অন্য একটি কারণ রয়েছে। কেননা এই দুই জেলায় বেশ ভালই ফলের আশা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেখানে কোচবিহারে দলের পরাজয় এবং বীরভূমে দুটি আসনে দল জয়লাভ করলেও বিজেপির উত্থান চিন্তা বাড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর তাই হয়ত বা দলীয় নেত্রীর বকুনি খাওয়া থেকে বাঁচতেই এদিনের বৈঠক এড়িয়ে গেলেন এই দুই নেতা। কিন্তু এলাকায় গন্ডগোল থাকার কারণেই রবীন্দ্রনাথবাবু এই বৈঠকে থাকতে পারেননি এবং বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ভোটের কারণে পরিশ্রম হওয়ায় এখন বিশ্রাম নিচ্ছেন তাই এই বৈঠকে উপস্থিত হননি বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এদিনের এই বৈঠকে দলের খারাপ ফলাফলের জন্য একগুচ্ছ জেলা নেতৃত্বকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধমকের মুখে পড়তে হয়।তা থেকে বাঁচতেই কি অনুপস্থিত এই নেতারা জল্পনা কিন্তু বাড়ছেই। সূত্রের খবর, এদিন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির জয় নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি তপন দাশগুপ্তকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “রত্না এত ভালো ক্যান্ডিডেট হওয়ার পরেও কি করে ওখানে হেরে যায়? লকেট কিভাবে জেতে? আপনাকে জেলার দায়িত্ব নিতে হবে না। দায়িত্ব ছেড়ে দিন।” সব মিলিয়ে এবার দলীয় পর্যালোচনা বৈঠকে একের পর এক নেতাকে ধমক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনার মতামত জানান -