মুকুলের মত শোভনকেও কি পদ পেতে করতে হবে অপেক্ষা? জল্পনা তুঙ্গে কলকাতা রাজ্য August 27, 2019 রাজ্যে বিজেপির ব্যাপক উত্থানের পিছনে সকলে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের যে একটা বড় ভূমিকা রয়েছে, সেই বিষয়ে সকলেই একমত পোষণ করেছে। সম্প্রতি নিয়ম মেনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে যে পরিবর্তন হয়ে থাকে, তাও স্থগিত হয়ে গেছে। তাই 2021 সালে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে যে বঙ্গ বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে রণাঙ্গনের নামতে চলেছে, সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু বিজেপির সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবাংলায় জয়যাত্রা হওয়ার নেপথ্যে আরেকজন মানুষের ভূমিকাকে অস্বীকার করা যায় না, তিনি মুকুল রায়। একদা তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যখন যোগ দেয়, তখন প্রথমেই ভারতীয় জনতা পার্টি তাকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়নি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্জুন সিং, সৌমিত্র খাঁ, আবার খগেন মুর্মু, অনুপম হাজরা ইত্যাদি হেভিওয়েট নেতাদেরকে বিজেপিতে জয়েন করিয়ে তিনি প্রমাণ করে দিয়েছিলেন বাংলা রাজনীতিতে তার ভূমিকা কত তীব্র। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাই পরবর্তীতে বিজেপির নির্বাচনী কমিটির দায়িত্ব অর্পণ করে ভারতীয় জনতা পার্টি বুঝিয়ে দেয়, বাংলায় পদ্মফুল পটাতে গেলে মুকুল কতটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর মুকুল রায়কে দায়িত্ব দেওয়ার পরই বাংলার পাকেও পদ্ম প্রস্ফুটিত হয়। দুটি আসন বিশিষ্ট ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলায় 18 টি আসনে জয়লাভ করে। উত্তরবঙ্গ থেকে 8 এর মধ্যে সাতটি আসনে নিজেদের জয় নিশ্চিত করে গেরুয়া শিবির। তাই মুকুল রায়কে লোকসভা নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি যে কোনো রকম ভুল করেনি, তা প্রমানিত হয়ে যায়। কিন্তু সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া কলকাতার নিগমের প্রাক্তন মেয়র এবং বাংলার হেভিওয়েট প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদান করলেও এখনও পর্যন্ত বিশেষ কোন পদে আসিন হয়নি। তাই রাজনৈতিক মহলের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মুকুলের মত বন্ধুকে অপেক্ষা করতে হবে বিজেপিকে। স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য অনেকে মনে করছেন, একেবারে টপ টু বটম সাংগঠনিক ভাবে সজ্জিত বিজেপি কাউকে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার আগে তাকে ভালো মত পর্যবেক্ষন করে নেয়। অর্থাৎ দলের প্রতি তার নিষ্ঠা, দলের অগ্রণী ভূমিকা, সক্রিয় অংশগ্রহণ ইত্যাদির পাশাপাশি এও বলা চলে, এরমধ্যে একটা সুপ্ত হাতছানি রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের। তবে শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদানের পরেই যেভাবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে মুকুল রায় ছোট, বড় মাপের দলীয় নেতারা তাকে স্বাগত জানিয়েছে, তাতে করে স্পষ্ট, শোভন চট্টোপাধ্যায় দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে গেলে কারও তীব্র বিরোধীতা সহ্য করতে হবে না কলকাতার ওই প্রাক্তন মেয়রকে। রাজনীতি ও ক্রিকেট খেলা প্রায় একইরকম। শেষ অব্দি বলা যায় না, কোন টিম জিতবে, কোন টিম হারবে। তাই যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রাক্তন মহানাগরিককে বলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আনা হচ্ছে, ততক্ষণ জল্পনার অবসান ঘটবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -