পুজোর দিনেও ছাড় নেই তৃণমূল কর্মীদের! জনসংযোগে জোর দেওয়ার নিদান শীর্ষ নেতৃত্বের কলকাতা রাজ্য September 24, 2019 কথায় আছে, ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে জনসংযোগের যথেষ্ট অভাবের জন্যই যে 34 থেকে 22 এ নেমে আসতে হয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে, তা বুঝতে বাকি নেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। আর তাই তো এবার শারদোৎসবের সময়ও বেশি বেশি করে দলের কর্মীদের জনসংযোগের নির্দেশ দিল ঘাসফুল শিবির। সূত্রের খবর, রাজ্যের সর্বত্র পুজোমণ্ডপ চত্বরে তৃণমূলের মুখপাত্র “জাগো বাংলা” স্টল করার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই বিক্রির উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে দলীয় কর্মীদের। বস্তুত, পুজোর সময় অন্য কাজে ব্যস্ত না থেকে সংগঠনের কাজে আরও বেশি মশগুল হতে দেখা যায় বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোকে। সেই সময় বইয়ের স্টল করে তারা সাধারণ মানুষের আরও বেশি কাছে পৌঁছতে চেষ্টা করে। কিন্তু তৃণমূলের মধ্যে কোনদিনই সেই চেষ্টা ছিল না। দুএক জায়গায় গুটিকয়েক তৃণমূল নেতারা সেই উদ্যোগ নিলেও সেই ভাবে পুজোর সময় জনসংযোগে দেখা যেত না ঘাসফুল শিবিরকে। যার কারণে সেই জনসংযোগের যথেষ্ট অভাবই এবার ডুবিয়েছে তৃণমূলকে। আর তাইতো এবার পুজো মণ্ডপগুলির পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই, ও জাগো বাংলা স্টল করতে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের প্ল্যানে নিজেদের ভাবমূর্তিকে স্বচ্ছ করতে “দিদিকে বলো” কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের সাধারণ মানুষের আরও বেশি কাছে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু শুধু এমনি সময় নয়, যখন মানুষ পূজোর সময় বেরোবেন, তখন যাতে তৃণমূল কর্মীরা হেলায় সময় না কাটিয়ে দেন, তাই এই জাগো বাংলা স্টলের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের আরও বেশি কাছে পৌঁছনোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “বারোয়ারি পুজো ঘিরে মানুষের সমাবেশ হয়। তাই সম্পর্ক গড়ে তোলার বাড়তি সুযোগকে কাজে লাগাতে জাগো বাংলা স্টল দেওয়া শুরু হয়েছিল। এবার তা আরো বেশি করে সংগঠিতভাবে পালন করা হবে। উৎসবের মধ্যেও দলকে সাংগঠনিক কাজে যুক্ত রাখার ব্যাপারে এই স্টলগুলি কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে।” এদিকে এই প্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “দলের সিদ্ধান্ত অনুসারে ইতিমধ্যেই জেলার সর্বত্র বইয়ের স্টল করার লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলনেত্রীর লেখা প্রবন্ধ, কবিতা, শিশু কিশোরদের জন্য লেখা বইও রয়েছে তালিকায়। কিভাবে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আমাদের নেত্রী উঠে এসেছেন, তা নতুন প্রজন্মকে মনে করিয়ে দেওয়াই প্রধান লক্ষ্য।” তবে তৃণমূলে যে সমস্ত সাংগঠনিক ব্যক্তির অভাব রয়েছে, তারা কি পূজোর সময় দলীয় কর্মী হিসেবে আদৌ এই কাজে সময় দেবেন! তা নিয়ে কিন্তু ধন্দ থেকেই যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -