এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নিজের গড়ে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাকে খুনের হুমকি দিয়ে পোস্টার, চাঞ্চল্য এলাকায়

নিজের গড়ে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাকে খুনের হুমকি দিয়ে পোস্টার, চাঞ্চল্য এলাকায়

তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলকে কোণঠাসা হতে হয়েছে। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হচ্ছে তৃণমূলের সবথেকে বড় অস্বস্তির কাঁটা। এই কাঁটাকে তৃণমূল সুপ্রিমোও উপড়ে ফেলতে পারছেননা। শত চেষ্টা করেও কিছুতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামতে চাইছে না তৃণমূলে। তাহলে এবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই কি বিধাননগরে ঘটে গেল পোস্টার কান্ড ? আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

আজ সকালে বিধান নগর পুরনিগমের 4 নম্বর ওয়ার্ডে একটি পোস্টারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা যায় এলাকায়। পোস্টারটির কেন্দ্রবিন্দু বিধাননগর পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূল নেতা তাপস চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা এই পোস্টার চোখে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে। এরপরই গোটা এলাকা জুড়ে শুরু হয় উত্তেজনা।

একটার পর একটা ছাপানো পোস্টারে দেখা যায় লেখা আছে, ‘তাপস চট্টোপাধ্যায় মুর্দাবাদ, অরিন্দম ঘোষ জিন্দাবাদ।’ অন্য আরেকটি পোস্টারে দেখা যায় লেখা রয়েছে, ‘কিল তাপস চট্টোপাধ্যায়’। এই মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা পোস্টার সকালে স্থানীয়দের চোখে আসা মাত্রই তারা মেয়র ঘনিষ্ঠদের সাথে সাথে জানান। এরপরই নারায়ণপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, এর আগে গত 6 ই আগস্ট ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মিলে হামলা চালায়। এই ঘটনার সাথে আজকের ঘটনার কোন মিল আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, অরিন্দম ঘোষ হলেন স্থানীয় ডিরোজিও কলেজের প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্রনেতা। তিনি বর্তমান বিধান নগর পুরনিগমের এক নম্বর চেয়ারম্যান তথা 4 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহনাওয়াজ আলি মন্ডল ওরফে ডিম্পির একান্ত অনুরাগী এবং অনুগামী। তাই এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করে উঠতে পারিনি। তবে পুলিশ খতিয়ে দেখছে, তাপস চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কে বা কারা হত্যার ইচ্ছা নিয়ে এই ধরনের পোস্টার এলাকাজুড়ে মেরেছে। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আশঙ্কাকেও সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা বলে খবর। আপাতত তদন্ত চলছে। পরবর্তী পুলিশি পদক্ষেপের দিকেই নজর থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!