এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপির সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিজেপির সঙ্গী, অস্বস্তিতে মোদি – শাহ

বিজেপির সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিজেপির সঙ্গী, অস্বস্তিতে মোদি – শাহ

দেশের প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বিজেপি শিবিরের ব্যস্ততা চরমে। বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে প্রত্যেকটি রাজ্যে সংগঠনকে রীতিমতো শক্তিশালী করতে ব্যস্ত বিজেপি শিবির। প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভা নিয়ে আলাদা আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। আপাতত সামনে নির্বাচন। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খন্ড – নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এই তিন রাজ্যে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্টও স্থির হয়ে গেছে। মহারাষ্ট্র নিয়ে বিজেপি অনেক আগেই চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে। তবে এবার মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে আসন বন্টন নিয়ে।

মহারাষ্ট্রে আসন বন্টন নিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। যা যথেষ্ট চিন্তার বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে, শিবসেনার তরফ থেকে তাদের মুখপত্রে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পুলওয়ামায় যদি জঙ্গি হামলার ঘটনা এবং বালাকোট ঘটনা না হতো, তাহলে কি বিজেপি এই ঘটনাগুলোকে ইস্যু করে 300 আসন পেত ? মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যে এই মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ভোটের দিন স্থির করেছে একুশে অক্টোবর। শিবসেনার তরফে রাজ্যসভার সংসদ সঞ্জয় রাউত এদিন বিজেপিকে কটুক্তি করে বলেন, আসন সমঝোতা দেশ বিভাজন এর থেকেও বড় কাজ। তাই সে কাজে এতো সময় লাগছে। এর আগে গত 19 সেপ্টেম্বর সঞ্জয় রাউত বলেছিলেন স্পষ্টভাষায়, মহারাষ্ট্রে বিজেপির সাথে জোট ভাঙলে তাতে তাঁদের অর্থাৎ শিবসেনার কোন অসুবিধা হবে না। কারন শিবসেনা মহারাষ্ট্রে অন্তত 50% আসনে নিজেরা লড়তে চায়। আসন সমঝোতা না হলে জোট ভেঙে যাবে। যদিও ঠিক তার পরের দিনই শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে আসন সমঝোতা নিয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর আগে সূত্র মারফত জানা গেছিল, শিবসেনা 120 থেকে 125 টি আসনে লড়াইয়ের জন্য তৈরি হয়েছে। যদিও শিবসেনা প্রথমে 50% আসনের দাবি রেখেছিল। পরবর্তীতে বিজেপিকে চাপে ফেলতে এবার শিবসেনা তৈরি হচ্ছে মহারাষ্ট্রে 288 টি আসনেই প্রার্থী দিতে।

প্রসঙ্গত 2014 সালের বিধানসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে দু’দলই একা লড়েছিল‌। এবং বিজেপি, শিবসেনা কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ না করায় নির্বাচনের পরে দু’দলই সরকারে যোগ দেয়। 2019 সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি, শিবসেনা জোটবদ্ধভাবে লড়াই করে রাজ্যের 48 টি আসনের মধ্যে 41 টি আসন দখল করেছিল। বর্তমানে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা 122 এবং শিবসেনার যথারীতি 63 টি আসন দখলীকৃত রয়েছে।

এবারের বিধানসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে শিবসেনা বিজেপি জোট এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি। জোট হবার আগেই আসন বন্টন নিয়ে যে গন্ডগোল তৈরি হয়েছে, তাতে লোকসভায় বিজিত জোট ভেঙে যাওয়ার মুখে। তবে এক্ষেত্রে বিজেপি দল লোকসভা ভোটে জয়ী জোটকে ধরে রাখতে আগ্রহী হয় কিনা সেদিকে লক্ষ্য এখন সমগ্র রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!