অধীর গড়ে এখনও লড়াইটা কংগ্রেস বনাম তৃণমূল! দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি? বাড়ছে জল্পনা কলকাতা মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য October 28, 2019 রাজ্যের প্রায় কমবেশি প্রতিটি জেলাতেই বিজেপি বনাম তৃণমূলের বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা গেলেও ব্যতিক্রম মুর্শিদাবাদ জেলা। এখানে কালীপুজোর উদ্বোধনের মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয়ে গেল যে, এই জেলায় মূল লড়াই হতে চলেছে কংগ্রেস বনাম তৃণমূলের মধ্যে। বস্তুত, উৎসবের মরসুমে সেইভাবে বিজেপির কোনো নেতাকে কালীপুজো উদ্বোধনে দেখা গেল না। তবে শক্তি আরাধনায় মেতে উঠলেন কংগ্রেস এবং তৃণমূলের নেতারা। দুই দলের কোন নেতা সবথেকে বেশি কালীপুজো উদ্বোধন করেন, তার দিকে তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহলও। প্রথমদিকে অনেক আশা করেছিলেন যে, সারা রাজ্যে যেভাবে বিজেপির উত্থান ঘটছে, তাতে মুর্শিদাবাদ জেলাতে কালীপুজোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে। কিন্তু তার বদলে বিজেপির জায়গায় কংগ্রেস চলে আসায় এই জেলার রাজনৈতিক সমীকরণ বিধানসভা নির্বাচনে কিছুটা অন্য আকার নেবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। জানা যায়, রবিবার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী জেলাজুড়ে প্রায় বারোটা পূজামণ্ডপের উদ্বোধন করেন। অন্যদিকে অধীর বাবুকে টেক্কা দিতে পুজো উদ্বোধনে করতে দেখা যায় মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারেফ হোসেন মন্ডল, জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবু তাহের, প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন সহ অন্যান্যদের। যা দেখে অনেকেই বলছেন, এই মুর্শিদাবাদ জেলায় বিজেপির সংগঠন দিনকে দিন ধাক্কা খেতে শুরু করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে যেভাবে কিছুদিন আগে জিয়াগঞ্জে নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটল এবং সেই পরিবারকে আরএসএস বলে দাবি করা হল, তাতে বিজেপি যদি সেই প্রচারের মাত্রাটাকে ধরে রাখতে পারত, তাহলে এখানে তারা অনেকটাই লাভ করতে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তা না করাতে এবং এনআরসি সহ আরও বিভিন্ন ইস্যুতে সীমান্তবর্তী এই জেলায় বিজেপি অনেকটা ধাক্কা খেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এর কি ফলেই কালীপুজো উদ্বোধনে বিজেপি নেতাদের বদলে মূল প্রতিযোগিতা হল তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে! এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা জয়ন্ত দাস বলেন, “অধিরদা সব সময় মানুষের পাশে থাকেন। শনিবার থেকেই তিনি মন্ডপে যাচ্ছেন। এবার তিনি অনেক উদ্বোধন করেছেন।” এদিকে এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারেফ হোসেন মণ্ডল বলেন, “জিয়াগঞ্জ, লালবাগ বহরমপুর সহ জেলার সমস্ত প্রান্তেই আমরা পুজোতে অংশগ্রহণ করেছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্বোধনের ডাক পেয়েছিলাম।” তারা কেন উদ্বোধন পর্বে নেই! এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শাখারভ সরকার বলেন, “এখন আমাদের সাংগঠনিক নির্বাচন পর্ব চলছে। সেই কারণেই কালিপুজোতে আলাদাভাবে তেমন কর্মসূচি নেওয়া হয়নি।” কিন্তু এইভাবে যদি তারা সামাজিক উৎসবে কর্মসূচি থেকে বিরত থাকেন, তাহলে আগামীদিনে জেলায় তাদের সংগঠন পরিচালনা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -