এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > সবংয়ে এবার ‘হারতেও’ রাজি মানস ভূঁইয়া

সবংয়ে এবার ‘হারতেও’ রাজি মানস ভূঁইয়া


পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং মানেই হাত চিহ্নে মানস ভূঁইয়া। এটাই রেওয়াজ হয়ে গিয়েছিল, গত ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটেও এর অন্যথা হয় নি। বামফ্রন্টের সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে মানস রঞ্জন ভূঁইয়া ড্যাংডিঙিয়ে প্রায় ৫০ হাজার ভোটে আবারো সবং থেকে বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন। কিন্তু এরপরেই কেটে গেল সুর, কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের উপর একরাশ ক্ষোভ উগরে, তাঁদের ‘জগাই-মাধাই’ আখ্যা দিয়ে মানসবাবু যোগ দিলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসে। যদিও মানসবাবুর বিরোধী শিবিরের দাবি, ২০১৬ এর ভোটের আগে সবংয়ে খুন হন তৃণমূল কর্মী জয়দেব জানা, যে ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় মানস বাবুর, আর সেই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতেই তাঁর ঘাসফুলে যোগদান। আর তার পুরস্কার স্বরূপ তৃণমূলনেত্রী মানস ভূঁইয়াকে রাজ্যসভার সাংসদ করে দিল্লি পাঠালেন, ফলে সবং আবার মুখোমুখি হল উপনির্বাচনের। অনেকেই শাসকদলের টিকিট প্রত্যাশী হলেও, শেষমেশ টিকিট পেলেন মানস-পত্নী গীতারানি ভূঁইয়া।
আর গতকাল হয়ে গেল সেই সবং উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আর তারপর নিজের প্রতিক্রিয়া দিলেন সবংয়ের এতদিনের বিধায়ক। উপস্থিত সাংবাদিকদের চমকে দিয়ে তিনি জানালেন এবার তিনি সবংয়ে ‘হারতে’ চান, আর তারপরেই দ্রুত ধরিয়ে দিলেন, সেই হারটা যেন আসে নিজের স্ত্রীর কাছ থেকেই, অন্য বিরোধীদের থেকে নয়। মানসবাবু জানান, আমি হারতে চাই, গীতার কাছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নিয়ে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন আমার স্ত্রী। আমার থেকে বেশি ব্যবধানে জিতলে বেশি খুশি হবো। চতুর্মুখী লড়াই হয়েছে। কিন্তু কে, কত ভোট কাটল দেখতে হবে। তার উপরই নির্ভর করছে, আমার থেকেও বেশি ব্যবধানে গীতা জিতবেন কি না, তা। আর নিজের স্ত্রীর কাছে ‘হারতে’ কোনো কাসুর বাকি রাখছেন না তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। নির্বাচনী প্রচারে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ইতিমধ্যেই গলা ভেঙ্গে ফেলেছেন, তার উপরে কাল ভোট হয়েছে প্রায় তাঁর হিসেব মতোই, দাবি তাঁর অনুগামীদের। তবুও ফল না বেরোনো পর্যন্ত তিনি নিশ্চিত নন, আর তাই ভোটের পরই গণনার জন্য টীম সাজিয়ে ফেলছেন ইতিমধ্যেই। এখন দেখার আগামী ২৪ তারিখ গণনার পর কার কাছে কতটা হারেন মানসবাবু।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!